পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরবে বৈধভাবে বসবাস নিয়ম ভাঙ্গা এবং শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্য গত তিনদিন মোট ২৪ হাজার অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সউদী গেজেট জানিয়েছে, ভিসার শর্ত ভঙ্গ হয়েছে এমন ২৪ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, এদের মধ্যে কোন দেশের কত সংখ্যক অভিবাসী আটক হয়েছেন সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। সউদী গেজেট জানাচ্ছে, তিন দিন ধরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান এখনো চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ হাজার ৭০২ জন সউদী আরবে বসবাসের আইন লঙ্ঘন করেছেন।
বাকীদের সীমান্ত নিরাপত্তা আইন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৪২ শতাংশকেই মক্কা নগরী থেকে আটক করা হয়। এছাড়া রাজধানী রিয়াদ, আসির প্রদেশ, জাযান এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো থেকে আটক হয়েছে অনেকে। এর মধ্যে এই অভিবাসীদের সাহায্য করার অভিযোগে ২৫ জন সউদী নাগরিককেও আটক করা হয়েছে।
সউদী আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, এমন একটি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে তিনি দাবী করেন, এটি একটি নিয়মিত অভিযান। তিনি জানিয়েছেন এই অভিযানে বাংলাদেশী কতজন আটক হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো পুরো তথ্য পায়নি দূতাবাস। তিনি বলছেন, প্রতি মাসে সউদী সরকার দূতাবাসকে একটি রিপোর্ট দেয়, যাতে কোন অপরাধে আটক বাংলাদেশীদের তালিকা প্রদান করে। কিন্তু নতুন এই অভিযানে ঠিক কতজন বাংলাদেশী আছে সে রিপোর্ট এখনো দেয়নি। রাষ্ট্রদূত মি. মসীহ বলছেন, যখনই বাংলাদেশীদের সংখ্যাটি তারা জানবেন, তখন সেখানকার কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
এ বছরের মার্চে সউদী আরবে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো। সে সময়ে অবৈধ বিদেশি নাগরিক ও শ্রমিকদের ৯০ দিনের ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করা হয়েছিলো। যাতে বলা হয়েছিল, দেশটিতে অনুমতি ছাড়া বসবাস, ইকামা বা সরকারি অনুমতি না নিয়ে কাজ করা এবং সউদী আরবে অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমা প্রযোজ্য হবে। এই সময়ের মধ্যে অবৈধ ব্যক্তিরা কোনও শাস্তি ছাড়াই নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।