নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপের আসরে একবারই অনুপস্থিত ছিল ইতালি, ১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে। আরো একবার ফুটবলের বিশ্বমঞ্চ থেকে ছিটকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে আসরের অন্যতম সফল দলটি। এবারো এর সাথে জড়িয়ে সুইডেনের নাম। বিশ্বকাপ প্লে অফের প্রথম পর্বের ম্যাচে সুইডেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে ইতালি।
এখনো অবশ্য সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। তবে রাশিয়ার টিকিট হাতে পেতে সান সিরোতে আগামীকাল জিততেই হবে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আর সুইডিশরা যদি কোন ভাবে একটি গোল পেয়ে যায় তাহলে কমপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে বুফন-বোনুচ্ছিদের। এমন কঠিন ম্যাচে মার্কো ভেরাত্তিকে পাবে না ইতালি। হলুদ কার্ডের দন্ডে পড়ে পরবর্তি ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার দন্ডে পড়েছেন পিএসজি মিডফিল্ডার।
স্টকহোমের ফ্রেন্ডস অ্যারেনায় একমাত্র গোলটি আসে ম্যাচের ৬১তম মিনিটে। ২০ জগ দুর থেকে নেয়া জ্যাকোব জনসনের নেয়া জোরালো শট ইতালি ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল ডি রসির পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
বদলি হিসেবে মাঠে নামার চার মিনিট বাদেই দলকে এমন মহামূল্যবান গোল উপহার দেন জনসন। জাতীয় দলের জার্সিতে ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের প্রথম গোল এটি। যে গোল এক যুগ পর আবারো বিশ্বকাপের মূলপর্বের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সুইডিশদের।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ তৈরী করেছিল দুই দলই। কিন্তু কেউই জাল আবিষ্কার করতে পারেনি। বলের দখল আর আক্রমণে সফরকারীরা এগিয়ে থাকরেও বার বার হতাশ হতে হয়েছে স্বাগতিকদের গোলমুখে গিয়ে। পিছিয়ে পড়ার পর গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল ইতালি। কিন্তু মাতেও ডার্মেইনের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
ম্যাচের আগে ইতালি কোচ জিয়ান পিয়েরো ভেরোত্তি বিশ্বকাপের শঙ্কার প্রশ্ন ফু দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ইতালি বিশ্ব্কাপে খেলবে না এমন ভাবনা নাকি তার মাথার পাশেও ভেড়েনি। এদিন সুর একটু নরম করে বলেন, বিশ্বকপে যেতে হলে দ্বিতীয় লেগে ‘অবিশ্বাস্য পারফর্ম্যান্স’ করতে হবে তার দলকে, ‘মিলানে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সান সিরো আমাদের বাড়তি সুবিধা দেবে এটা ঠিক তবে দর্শকদেরকেও আমাদের অবিশ্বাস্য নৈপূন্য উপহার দিতে হবে।’ এছাড়া ম্যাচ অফিসিয়ালদের সমালোচনা করে ভেরোত্তি বলেন, ‘এই ফল আমাদের ব্যাথিত করেছে। আশা করি মিলানে অফিসিয়ালরা আমাদের পাশে থাকবে ঠিক যেমনটা এই ম্যাচে তাদের পাশে ছিল।’
ওদিকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা কিছুটা হলেও উজ্জ্বল হয়েছে পেরুর। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্র করে ফেরা তো প্রায় জয়ের সমান। নিউজিল্যান্ড থেকে গোলশূন্য ড্র করে ফিরেছে লাতিন আমেরিকার দলটি। পরশু লিমায় দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে বিজয়ী দল হাতে পাবে ২০১৮ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ রাশিয়ার টিকিট। সম্ভবনার পাল্লাটা অবশ্য ঝুকে আছে ফিফা রাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বর দল পেরুর দিকেই।
একবুক স্বপ্ন নিয়ে এদিন ঘরের মাঠ ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল কিউই ফুটবল ভক্তরা। স্টেডিয়ামে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। স্বাগতিক দর্শকদের কাছ থেকে এমন পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার পরও পেরুর গোলমুখ আবিষ্কার করতে পারেনি ‘অল-হোয়াইট’ খ্যাতরা। গোলরক্ষক স্টিফেন মারিনোভিচ দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ না দিলে উল্টো পরাজয়ের মাল্য পরতে হতো তাদের।
এর আগে দুবার বিশ্বকপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড, ১৯৮২ ও ২০১০ সালে।
তবে পরশু রাতটা সেনেগালবাসীর জন্য ছিল স্বপ্নময়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে এদিন তারা হাতে পায় রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট। ১৬ বছরের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সযোগ পেল সেনেগাল। ‘তেরাঙ্গা লায়ন্স’ লায়ন্স খ্যাত দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল লিভারপুল মিডফিল্ডার সাদিও মানের। ম্যাচের শুরুতে ডিয়াফ্রা সাকোর করা প্রথম গোলের মত দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার থম্পসঙ্কা মিখিজের করা আত্মঘাতি গোলেও অবদান ছিল মানের।
সুইডেন ১ : ০ ইতালি
নিউজিল্যান্ড ০ : ০ পেরু
দ. আফ্রিকা ০ : ২ সেনেগাল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।