নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে তিনি পেয়েছিলেন ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ খেতাব। তবে পকেট ডিনামাইট খ্যাত মুমিনুল হক কিন্তু আদতে তা ছিলেন না। টেস্টের মত ঘরোয়া একদিনের ক্রিকেট এমনকি বিপিএল আসরেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বার বার। প্রমাণ দিলেন আবারো। গতকাল তার হার না মানা ৬৩ রানের ইনিংসের উপর ভর করে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জিতেছে রাজশাহী কিংস। আসরে যা তাদের প্রথম জয়।
মুমিনুলের আগে রাজশাহীর বোলাররা অবশ্য কাজের কাজটি করে রেখেছিল। মুমিনুলদের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৩৬ রানের। মুমিনুল-সিমন্স উদ্বোধনী জুটিই তুলে ফেলে ১২২ রান। ৫০ বলে ৫৩ রান করে রান আউটের ভাগ্যে কাটা পড়েন সিমন্স। ৫ রানের ব্যবধানে থিসারা পেরেরার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন ম্যালকম ওয়ালার। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে মুমিনুল ছিলেন অবিচল। টি-টোয়েন্টিতেও যে মনোমুগ্ধকর ক্লাসিক শটে দর্শক মাতানো যায় সেটা তিনি দেখালেন আরো একবার। তার ৪৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি দর্শনীয় ছক্কার মার।
নিজে ম্যাচসেরা হলেও জয়ের পুরো কৃতিত্ব বোলারদের দিলেন মুমিনুল, ‘প্রথম ইনিংসটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসেও আমরা দারুণ করেছি। তবে প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ১৩৫ রানে বেধে ফেলায় বোলারদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।’ নিজের অসাধারণ ইনিংস সম্পর্কে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ আমি শুধুমাত্র ক্রিজে নজর রেখে খেলতে চেয়েছি এবং বাজে বলগুলোতে চড়াও হয়েছি।’
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা রংপুরকে রানের জন্য রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে ২২ গজে। শুরু থেকেই মাশরাফির দলকে চেপে ধরে মুশফিকুর রহিমের দল। ঠিকই পড়ছেন, রংপুরকে এদিন নেতৃত্ব দেন মুশফিক। ড্যারেন স্যামি একাদশে ছিলেন না। প্রথম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন মুশফিক। তৃতীয় বলে ভয়ঙ্কর জনসন চার্লকে লেগ সাইডে ফ্রাঙ্কলিনের ক্যাচে পরিণত করে এর প্রতিদান দেন তরুণ স্পিনার। ২৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল না দিতেই চতুর্থ ওভারে ফরহাদ রেজার জোড়া আঘাত। রবি বোপারা এবং শাহরিয়ার নাফিসের ৫১ রানের জুটিতে বাকি সময়ে উইকেট রক্ষা হলেও রানের গতি ছিল বলতে গেলে স্থির। এজন্য মোহাম্মাদ সামি-মিরাজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। ৫ উইকেট হাতে থাকলেও তাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানেই আটকে যায় রংপুরের ইনিংস। ৩১ বলে ২৩ রান আসে নাফিসের ব্যাট থেকে। বোপারা অপরাজিত থকেন ৫১ বলে ৫৪ রান করে। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান করে দেন সামি ও মিরাজ। ফরহাদ রেজা নেন ২৮ রানে ২ উইকেট।
তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলো রাজশাহী। অপর পক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হারল রংপুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।