পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইয়েমেনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ বিশ্ব দেখতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে অবরোধের কারণে যুদ্ধবিধস্ত ইয়েমেনে দ্রæত সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে এই সংক্রান্ত এক ব্রিফিং শেষে অবরোধ সরিয়ে নিতে সউদী জোটের প্রতি আহŸান জানান জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক। রিয়াদের বাদশাহ খালেদ বিমানবন্দরের কাছে হুতিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পর সউদী জোট ইয়েমেনে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দেয়। ইয়েমেনের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ থাকা হুতিদের এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘বিপজ্জনক মাত্রাবৃদ্ধি’ বলেও বর্ণনা করে তারা। তেহরান যেন আর ইয়েমেনে অস্ত্র পাঠাতে না পারে সেজন্য এই অবরোধ দেয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে জোট। অন্যদিকে ইরান হুতিদের অস্ত্র দেয়ার কথা অস্বীকার করে আসছে। অবরোধের আগে এ সপ্তাহের শুরুতেও জাতিসংঘ এবং রেডক্রস জীবন রক্ষাকারী সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ ইয়েমেনির ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ নিয়ে সতর্ক করেছিল। রেডক্রস বলছে, তাদের ক্লোরিন ট্যাবলেটের একটি চালান অবরোধে আটকে গেছে। কলেরা মহামারির ঝুঁকিতে থাকা অন্তত ৯ লাখ ইয়েমেনির জন্য এই ট্যাবলেট সরবরাহ করা জরুরি। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, অবরোধের কারণে ৭ লাখ লোক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে। কাউন্সিলকে বলেছি ওই অবরোধ না সরলে ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হবে। দেশটির লাখ লাখ নাগরিক এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের শিকার হবে, যা গত কয়েক দশকেও দেখেনি বিশ্ব, উল্লেখ করেন লুকোক। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সিংহভাগ নাগরিকই বাইরের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু অবরোধের কারণে এখন খাদ্য, জ্বালানি কিংবা ওষুধ কিছুই ভেতরে যেতে পারছে না। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।