নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে ¯েøজিং নতুন কিছু নয়। মাঠের ভিতর অনেক সময় দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনময় হয়ে থাকে। এই ধরণের ঘটনা উপমহাদেশে খুব একটা না ঘটলেও অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের মধ্যে হারহামেশাই হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘¯েøজিং’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না হলেও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে হচ্ছে এমন ঘটনা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টির গত দুই আসরেও ¯েøজিং হয়েছে। গত আসরে সাব্বির-শেহজাদের মধ্যেও উত্তপ্ত বাক্য বিনময় হয়। তাছাড়াও মাঠে হাতাহাতি করেছিলেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবালও। এছাড়াও রয়েছে আল-আমিন, শহীদরা ছাড়াও বেশ কিছু ঘটনা।
তবে সেগুলো তো পেছনের কথা, বিপিএলের এবারের আসরে ¯েøজিং শুরু করছেন চিটাগং ভাইকিংসের পেসার শুভাশিষ রায়। ভাইকিংসের গত ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের আউট করে বাজে ভাষা ব্যবহার করেছেন এই পেসার। লিটনদের সাথে এমন ঘটনার পরে গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ¯েøজিংয়ে জড়িয়েছেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে!
ঘটনার সূত্রপাত রান তাড়া করতে থাকা রংপুর রাইডার্সের ইনিংসের ১৭তম ওভারের সময়। স্ট্রাইকে থাকা মাশরাফিকে এক ইয়র্কার করেন শুভাশিষ, সেটি ঠেকায়ও মাশরাফি। নিজের বলে ফিল্ডিং শুভাশিষ নিজে ফিল্ডিং করে মাশরাফির দিকে বল থ্রো করার জন্য এইম নেন। এসময় তাকে বল করতে ফিরে যেতে ইশারা দেন মাশরাফি। আর এতেই ক্ষেপে গিয়ে রীতিমত মাশরাফির দিকে তেড়ে আসেন শুভাশিষ। পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে এগিয়ে আসেন ভাইকিংসের সিকান্দার রাজা ও তানভীর।
জাতীয় দলের অধিনায়কের সঙ্গে এমন ব্যবহার মোটেও ভালো চোখে দেখেননি ক্রিকেট সমর্থকরা। জাতীয় দলের এমন সম্মানীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে এমন ব্যবহার অবাক করেছে সবাইকে। ওই ঘটনার পর ম্যাচের পরাজয়ের চেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শুভাশিষ-মাশরাফির মাঠের ভিতরের দৃশ্য।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সেটি। সাংবাদিকরা মাশরাফির কাছ থেকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসা করলেও সেটি প্রথমবার এড়িয়ে যান তিনি। তবে ঘুরেফিরে বারবার একই প্রশ্ন উঠে আসলে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন মাশরাফি। মাঠের এমন দৃশ্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন রংপুরের এই অধিনায়ক। উল্টো শুভাশিসকে নিজেই সরি বলা উচিত বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘ঘটনা যা ছিল, তা সিরিয়াস কিছু নয়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ রকম হয়। ও আমার ছোট তাই ওই সময় আমার মাথা ঠান্ডা রাখলে ভালো হত। কিন্তু এমন সিরিয়াস কিছু হয়নি। আমি জানিনা ওর কি করা উচিত ছিল। কিন্তু সিনিয়র হিসেবে আমারও মাথা ঠান্ডা রাখলে ভাল হত।’ বিনয়ের এই অবতার নিজেকেই দাঁড় করালেন দোষীর কাঠগড়ায়, ‘আমি মনে করি আমার তাকে সরি বলা উচিত। আর যেটা বললাম ম্যাচের মধ্যে এটা হয়ে যায়। অবশ্যই ওর জায়গা থেকে আমি মনে করি ঠিক আছে কারণ সেও জিততে চাইবে আমিও চাইব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।