পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে ইরান সরাসরি সামরিক আগ্রাসন চালানোর মতো তৎপরতা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সউদী আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। যুবরাজকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সউদীর রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শনিবার সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদের একটি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয় আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী। সউদীর দাবি, ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এমন বাস্তবতায় ইরানবিরোধী বক্তব্য দিলেন সউদী যুবরাজ। ইয়েমেনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। তারা হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে নিয়মিতই হামলা চালাচ্ছে। এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এতে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্রতম দেশটিতে। সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সউদী প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলাপকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, হুতি বিদ্রোহীদের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ (সউদী) রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়ার শামিল। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনাকে ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক বলে সউদী আরব যে বিবৃতি দিয়েছে, তা নাকচ করে দিয়েছে শিয়া সংখ্যাগরি দেশটি। অপর এক খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের ওপর আবারো অবরোধ আরোপ করেছে সউদী আরব। সউদী নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে প্রবেশে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পথ বন্ধ করে দিয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, শনিবার রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর লক্ষ্য করে ইয়েমেনের হুতিরা যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল সেটি সরবরাহ করেছে ইরান। ইয়েমেনের ওপর যে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে তা সাময়িক বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। এছাড়া মানবিক কার্যক্রম ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জোট। জোটের ওই বিবৃতিতে ইরানের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইরান যে কাজ করেছে তাকে সুস্পষ্টভাবে সামরিক আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করছে জোটের কমান্ড এবং একে সউদী আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। ইরানের বিরুদ্ধে যথাসময়ে এর জবাব দেয়ার বিষয়টি সউদী আরব বিবেচনার এখতিয়ার রাখে বলেও জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ইয়েমেন থেকে ভোলকনো-১ নামে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এটি রিয়াদের বাদশা খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশে প্রতিরোধ করে তা ধ্বংস করে সউদী আরব। ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো টুকরো অংশ বিমানবন্দরে এসে পড়ে। এসপিএ, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।