Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুলশান মার্কেট থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার : গ্রেফতার ৩

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিজাত শপিং মল পুলিশ প্লাজা কনকর্ড থেকে এক শিশুকে অপহরণের সাত ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন অপহরণকারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ভোর রাত ৪টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিলের মধ্য কুনিপাড়ায় অভিযানে যায় পুলিশ। পরে সেখানকার একটি মেস থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুকে। গ্রেফতার করা হয় ওপর দুই অপহরণকারীকেও।
জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শিশু তাওসিফুর রহিমকে নিয়ে সেখানে কেনাকাটা করতে যান বাবা মমিন আহমেদ ও মা নাজমুন আরা। হঠাৎ চোখের আড়ালে লাপাত্তা তাওসিফুর। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে না পেয়ে খবর দেন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের। পরে শপিং মলের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট হয় অপহরণ চিত্র।
পুলিশ মার্কেট থেকে অপহরণের ঘটনায় তৎপর হয় পুলিশ। এরই মধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে তাওসিফুরের বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ফোনের সূত্র ধরে অভিযান চালায় পুলিশ।
অপহরণকারীদের কথা মতো টাকা নিয়ে রাজধানীর নাবিস্কো, সাতরাস্তা, বিজয় স্মরণী লিংক রোডে ছুটতে থাকেন বাবা। বিজয় স্মরণীর ফ্লাইওভার থেকে নিচে টাকার ব্যাগ ফেলা হয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে ছিল না শিশু তাওসিফুর। সেখান থেকেই আটক করা হয় এক অপহরণকারীকে।
তার দেওয়া তথ্যে রাজধানীর হাতিরঝিলের মধ্য কুনিপাড়ায় অভিযানে যায় পুলিশ। পরে ভোররাত ৪টার দিকে সেখানকার একটি মেস থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। আটক করা হয় অপর দুই অপহরণকারীকেও।
ঢাকা মহানগর উত্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা ডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, অপহরণকারীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। এঘটনায় জড়িত তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে। এঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
শিশুটির মামা রায়হান জানান, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা চেয়েছিল। আমরা ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি ছিলাম। সেই মোতাবেক তারা ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় টাকা নিয়ে যেতে বলেছিল।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে ঢাকা মহানগর উত্তরের ডিবি পুলিশ ও গুলশান থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সে এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।


অপহরণের দুই বছর পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার : অপহরণকারী গ্রেফতার ১
এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দুই বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে উদ্ধার ও অপহরণকারী মো. মাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে পাওয়া গেছে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকার হেলেন সেন্টারের সামনে।
ঢাকা মহানগর পিবিআই’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, ওই মেয়েটি রংপুরের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়তো। মাহিন তাকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয় ১৪ বছরের ওই কিশোরী। সহযোগীদের নিয়ে রংপুরের কোতোয়ালি থানার শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে মাহিন। পরে অপহৃত মেয়ের মা বাদী হয়ে রংপুরের কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও মেয়েটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরে এ মামলায় মাহিনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারিসহ ক্রোকি ও হুলিয়া পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এরপর গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয় পিবিআইকে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই’র তদন্ত টিম অপহৃত ও অপহরণকারীর মোবাইল ফোনের কললিস্ট সংগ্রহ করে। এরপর পিপিআই’র ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারী মাহিনকে আটক করে। পরে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপহৃত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ