নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাত পোহালেই ধামাকা। আর মাত্র ২৪ ঘন্টা। তারপরই প্রথা ভেঙে ঢাকার পরিবর্তে সিলেটে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ টি-২০ ক্রিকেটের পঞ্চম আসর। ঢাকায় আসরের লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে গতকালই গোড়াপত্তন হয়ে গেল বিপিএল ফাইভের। ধুমধাড়াক্কা টি-২০ ক্রিকেটের জনপ্রিয় এই আসরে বরাবরই আলো ছড়িয়ে থাকেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। এবার আরেকটু বেশি ছড়ানোর অপেক্ষায়। এর আগে কখনও বিপিএল খেলেননি লংকান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা কিংবা নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। প্রথম আসর বাদে পুরো টুর্নামেন্টে কখনও শুরু থেকে দেখা যায়নি ক্যারিবীয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলকে। টি-২০ ক্রিকেটের এই তিন তারকাকেই দেখা যাবে এবারের বিপিএলে প্রথম দিন থেকেই। আগামীকাল তিনটি কৃড়ি একটি পাতার দেশ সবুজ সিলেটে শুরু হতে যাওয়া এবারের আসরে এই তিনজনের সঙ্গে থাকছেন এ সময়ের তরুণ টি-২০ স্পেশালিস্টরাও। সব মিলিয়ে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এবার প্রায় ১০০ বিদেশী নামছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-২০ আয়োজনে। প্রতিটি দল একাদশে খেলাবে পাঁচজন করে বিদেশী ক্রিকেটার।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিদেশী ক্রিকেটার বেশি খেলানোর সুযোগ আর দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোগে ‘গেøাবাল টি-২০ লিগ’ স্থগিত হয়ে যাওয়াতেই এবারের বিপিএলে বিদেশীদের এমন আধিক্য। অবশ্য প্রোটিয়াদের লিগ একদিক দিয়ে তারকার সমাবেশ কমিয়েও ফেলেছে। গেøাবাল টি-২০-তে খেলবেন বলে বিপিএলে নাম লেখাননি অনেকেই। শেষ পর্যন্ত আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি যখন স্তগিত করা হয়, ততদিনে দল সাজিয়ে ফেলেছিল বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
অর্থ খরচের সীমা নির্ধারিত থাকায় চাইলেও অনেকে আর বিদেশী ক্রিকেটার নিতে পারেনি। তার পরও ড্রাফট আর ব্যক্তি পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে যে ক্রিকেটাররা বিপিএলে জড়ো হচ্ছেন, তাতেই জমজমাট টি-২০ টুর্নামেন্টের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এবারের আসরে সর্বাধিক বিদেশী দলে ভিড়িয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস ও রংপুর রাইডার্স।
বেক্সিমকো গ্রæপের মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ডায়নামাইটস নিবন্ধন করিয়েছে ১৭ বিদেশির নাম। এ দলটির হয়ে খেলতে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসনের। তবে শেষ মুহূর্তে পাওয়া ইনজুরির কারণে তার আর বিপিএলে আসা হচ্ছে না। ডানহাতি এ অলরাউন্ডারকে না পেলেও ঢাকার বিদেশী ব্যাকআপ বেশ ভালো। অলরাউন্ডার হিসেবে দলটি নিয়েছে উইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড ও কেভন কুপার এবং পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদিকে। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলে ব্যাটিংয়ে থাকছেন কুমার সাঙ্গাকারা, এভিন লুইস ও নিরোশান ডিকওয়েলারা; আর বোলিংয়ে সুনীল নারিন ও মোহাম্মদ আমির।
তারকার মেলায় মানের দিক থেকে ঢাকার চেয়ে এগিয়ে অবশ্য রংপুর রাইডার্স। বসুন্ধরা গ্রæপের মালিকানায় নতুন করে পুনর্গঠিত হওয়া এ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অধিনায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের দলে খেলবেন ক্রিস গেইল, ল্যাসিথ মালিঙ্গা ও ব্রেন্ডন ম্যাককুলামরা। স্থানীয় ক্রিকেটার রুবেল হোসেন, আবদুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফীসদের সঙ্গে আরও থাকছেন রবি বোপারা, ডেভিড উইলি, স্যামুয়েল বদ্রি ও থিসারা পেরেরা।
বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে অলরাউন্ডার আনায় বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এবার খেলবে ডোয়াইন ব্রাভো, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নবির মতো পরীক্ষিতদের নিয়ে। বিপিএলে আসা ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে নামি যিনি, সেই জশ বাটলারও খেলবেন কুমিল্লায়। এ ছাড়া আফগানিস্তানের রশিদ খান, নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরো, পাকিস্তানের ফখর জামানরাও আছেন এ দলে।
কুমিল্লা দলটিকে দেখভাল করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিজা কামাল। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আরও দু’জন মন্ত্রী আছেন অন্য দু’টি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে। সিলেট সিক্সার্সে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, রাজশাহী কিংসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দু’দলই বিদেশীর চেয়ে দেশি ক্রিকেটারে প্রাধান্য দিয়েছে। এবারের আসরে নতুন যোগ হওয়া সিলেট বিদেশী কোটায় নিয়েছে শ্রীলংকার উপুল থারাঙ্গা, পাকিস্তানের বাবর আজম, উইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচারদের। আর গত আসরের রানার্সআপ রাজশাহী কিংস রেখে দিয়েছে ড্যারেন স্যামি, জেমস ফ্রাঙ্কলিন, মোহাম্মদ সামি, লেন্ডল সিমন্সদের।
জেমকন গ্রæপের মালিকানাধীন খুলনা টাইটানস দল সাজিয়েছে পাকিস্তানের জুনায়েদ খান ও শাদাব খান, দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশো, কাইল অ্যাবোট এবং অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লিংগারদের নিয়ে। আর ডিবিএল গ্রæপের চিটাগাং ভাইকিংস নিয়েছে মিসবাহ-উল-হক, দিলশান মুনাবিরা ও লুক রঞ্চিদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।