Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তৃতীয় মেয়াদে বিসিবি সভাপতি পাপন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নতুন মেয়াদে দায়িত্বে আসা নিশ্চিতই ছিল; বাকি ছিল ¯্রফে আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সেটুকুও সারা হয়ে গেল। সর্বসম্মতিক্রমে আবারও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এ নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নিলেন নাজমুল। প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১২ সালের অক্টোবরে। আগের বিসিবি প্রধান আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির সহ-সভাপতির দায়িত্ব নিলে সরকারের মনোনয়নে দায়িত্ব পান নাজমুল। এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেন বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে।
২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই সরে দাঁড়ায় নাজমুলের সম্ভাব্য বিরোধীপক্ষ সাবের হোসেন চৌধুরীর প্যানেল। নাজমুল তাই নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায়। এবার তো কোনো বিরোধী পক্ষই ছিল না। আবারও নির্বাচিত হলেন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায়।
নির্বাচিত হয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন পাপন। বাংলাদেশকে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে সেরা পাঁচে দেখতে চান তিনি। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘গত মেয়াদেই লক্ষ্য ছিল সেরা পাঁচের মধ্যে থাকা, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারিনি। কয়েক দিনের জন্য ছয়ে উঠলেও আবার সাতে নেমে যায় বাংলাদেশ। এবারের মেয়াদে আমার লক্ষ্য সেরা পাঁচে যাওয়া। কাজটা অবশ্য আগের চেয়ে কঠিন হবে। কারণ, সামনে আমাদের বেশিরভাগ খেলাই দেশের বাইরে।’
কয়েক দিন আগে নাজমুল হাসান বলেছিলেন, তেমন ইচ্ছা না থাকলেও বোর্ড পরিচালকদের অনুরোধে আবার সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন তিনি। তৃতীয় দফা সভাপতি হয়ে একই কথা বললেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল পরিচালক হিসেবে বোর্ডে থাকার। আমি চাইছিলাম অন্য কেউ বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করুক। কারণ আমাকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু নতুন দুজনসহ সব পরিচালক সভাপতি হিসেবে আমাকেই চাইছে। কোনও প্রতিদ্ব›িদ্ব না থাকায় আমিই আবার নির্বাচিত হয়েছি।’
আগামী চার নভেম্বর সিলেটে শুরু হবে বিপিএল। এরপর ঢাকায় ১১ নভেম্বর শুরু হবে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। তখনই বোর্ড সভা করে সহ-সভাপতি নির্বাচন ও স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানালেন নাজমুল হাসান, ‘সহ-সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও বাকি আছে। এছাড়া স্ট্যান্ডিং কমিটিও ভাগ করতে হবে। সিলেট থেকে ফিরে ঢাকায় খেলার মাঝখানে আমরা বোর্ড মিটিং ডাকবো। আপাতত আগের  কমিটি কাজ করবে।’
পদ দুটি হলেও এবার চার-পাঁচ জন বিসিবি সহ-সভাপতি হতে চাইছেন। এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতির বক্তব্য, ‘যারা বেশি দায়িত্ব নিতে চান, তাদের সাধুবাদ জানাই। এমন প্রতিদ্ব›িদ্বতা হলে তো ভালোই। এবার চার-পাঁচ জন লড়াই করতে পারে সহ-সভাপতি পদের জন্য। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে যা ভালো হয়, সেটাই করবো।’ গতবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আকরাম খান। নতুন কমিটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না আসারই ইঙ্গিত দিলেন নাজমুল হাসান, ‘কিছু পরিবর্তন এলেও বড় পরিবর্তন না-ও আসতে পারে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ বেশ কঠিন এবং টেকনিক্যাল। এখানে পরিবর্তন আসবে বলে আমার মনে হয় না। বাকি কমিটিগুলোতে বেশ কিছু নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।’
সভাপতি নির্বাচনের মতো এবার বিসিবির পরিচালক নির্বাচনেও ছিল না তেমন কোনো উত্তাপ। ২৫ পরিচালকের ২০ জনই আগেই নির্বাচিত হয়ে যান বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে সরাসরি পরিচালক হয়েছেন দুজন। বাকি তিনটি পদে নির্বাচন হয় গেলপরশু। নির্বাচনে কৌতুহল ছিল ¯্রফে আগের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে নিয়ে। নাঈমুরসহ আরও দুজন পরিচালক হয়েছেন ভোটে জিতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিসিবি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ