বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নরসিংদীর স্কুলছাত্রী আজিজাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি চাচী বিউটি বেগমসহ দুই জনকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজন ও পরিবারের অভিযোগ, মোবাইল চুরির অভিযোগে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে প্রথমে নির্যাতন ও পরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আজিজার চাচী বিউটি বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় মামলা করেছেন নিহতের পিতা সাত্তার মিয়া। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিউটি বেগমের মা সানোয়ারা বেগম, তার ভাই রুবেল মিয়া ও তার ফুপু শাশুড়ি তমুজা বেগম। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
নিহত আজিজার ভাই সুজন ও মা রেহেনা বেগম জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে গাছের পাতা কুড়ানোর সময় স্কুলছাত্রী আজিজার চাচী বিউটি বেগম ও তার ভাই রুবেল মিয়া একটি সিএনজি দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার বাড়ির অদূরে একটি উঁচু টিলায় নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
সুজন আরো জানান, আট-দশ দিন আগে চাচী বিউটি বেগমের একটি মোবাইল সেট চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। চাচীর মা ও অন্য স্বজনরা এর জন্য আজিজাকে সন্দেহ করে। তারা হুমকি দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে মোবাইল ফোন ফেরত না দিলে আজিজাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে।
পুলিশের হাতে আটক তমুজা বেগম বলেন, গত তিন মাস পূর্বে বিউটি বেগমের স্বামী মালয়েশিয়া যায়। স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর বিউটি বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। প্রেমিকের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা শুরু করে। এরই মধ্যে বিউটি বেগমের সঙ্গে তার প্রেমিকের অবৈধ মেলামেশার দৃশ্য দেখে ফেলেন স্কুলছাত্রী আজিজা।
এরপর থেকেই আজিজাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অংশ হিসেবে মোবাইল চুরির নাটক সাজানো হয়। ঘটনাকে বাস্তবায়ন করতে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়া হয় আজিজা ও তার বোনকে।
নিহতের বোন মারুফা বলেন, যে মোবাইল চুরির কথা বলে সেটা চাচি হাতেই ছিল। ইচ্ছে করে আমাদের ওপর অপবাদ দিয়েছে। আমার বোনের হত্যাকারীদের বিচার চাই। তাদের যেন ফাঁসি হয়।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান জানান, মোবাইল চুরি নয়, চাচীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিকের অপ্রীতিকর ঘটনা দেখে ফেলার কারণেই আজিজাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাত ১১টার দিকে বিউটির ফুপু শাশুড়ি তমুজা বেগম বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।