Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গণপূর্ত বিভাগের তিন প্রকৌশলী বরখাস্ত

উত্তরা গণভবনের গাছ কাটায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উত্তরা গণভবনে অবৈধভাবে গাছকাটা ও অন্যান্য অনিয়মের দায়ে নাটোর গণপূর্ত বিভাগের তিন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাছ কাটার ঠিকাদার সোহেল ফয়সালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বরখাস্তকৃতরা হলেন- নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) জিয়াউর রহমান ও বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসও) মো. কামরুজ্জামান।
নাটোর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উত্তরা গণভবনে অবৈধভাবে গাছ কাটা ও অন্যান্য অনিয়মের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের গঠন করা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সত্যতা পেয়েছে মর্মে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সেখানকার তিন প্রকৌশলী, দুই তত্ত¡াবধায়ক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে। সুপারিশের ভিত্তিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে ওই তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-১) মোছা. সুরাইয়া বেগমের স্বাক্ষরিত এই চিঠি নাটোরে গণপূর্ত দফতরে পাঠানো হয়। একই সময় এই চিঠির অনুলিপি জেলা প্রশাসনেরও কাছে পাঠানো হয়। নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কাইকে ছাড় দেয়া হবে না।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বরখাস্তের আদেশ আসার আগে নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমানকে নাটোর থেকে প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার চিঠি আসে। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ২৫ অক্টোবর নাটোর ছেড়ে যান। একই সময় এসডি ও এসও-কে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। ১৭ অক্টোবর অবৈধভাবে গাছ কাটা ও অন্যান্য অনিয়মের ব্যাপারে গণমাধ্যমে খবর ছাপা হলে উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটি ওই দিনই জরুরি সভা করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উত্তরা গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ, ঠিকাদার সোহেল ফয়সাল এবং গণভবনের তত্ত¡াবধায়ক আব্দুস সবুর তালুকদারকে প্রত্যক্ষভাবে এবং এসডি জিয়াউর রহমান, এসও মো. কামরুজ্জামান ও তত্ত¡াবধায়ক আবুল কাশেমকে পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে মোট এক হাজার ৯২ সিএফটি গাছ কাটা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মাত্র ১৮ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করা হলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তিন লাখ ৬৩ হাজার টাকার গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদনে গণভবন সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য সাত দফা সুপারিশও করা হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণপূর্ত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ