পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরব ও ইরাক তাদের মধ্যকার মতপার্থক্য নিরসন ও বাণিজ্য জোরদারে একসাথে কাজ করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত জুনের পর দু’দেশের নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠকের পর এ ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় বলে সউদী প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়। রিয়াদে সউদী-ইরাকি সমন্বয় পরিষদের মধ্যে বৈঠকের পর দু’দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় পক্ষ প্রতিবন্ধকতা হ্রাসে এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে একসাথে কাজ করার প্রয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। প্রসঙ্গত, গত রোববার দিনের প্রথম দিকে সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ সমন্বয় বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় ইরাকের সাথে মতপার্থক্য নিরসনে সংলাপের আহবান জানান। এ বৈঠকে বাদশাহ সালমান ছাড়াও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল এবাদি ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন উপস্থিত ছিলেন। ইরাকের ঐক্য ও স্থিতিশীলতার প্রতি সউদী আরবের জোর সমর্থন ব্যক্ত করে বাদশাহ সালমান বলেন, তারা সংলাপ ও ইরাকি সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার মতপার্থক্য নিরসন করার আশা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের গুরুতর চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে যার জন্য আমাদের মধ্যে পূর্ণ সমন্বয় প্রয়োজন। আল এবাদি জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চল আর বিভক্তি ও সংঘাত বহন করতে পারছে না। সশস্ত্র সংঘাত ও অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপের নীতির অবসান করা উচিত। তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি যে এ অঞ্চলের সব দেশের সম্মিলিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই আমাদের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও স্বার্থরক্ষার নীতি প্রণয়ন করা উচিত। আমরা চাই প্রত্যেকেই স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির মধ্যে বাস করুক। আমরা আমাদের ভাইদের সাথে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের নয়া অধ্যায় শুরু করতে চাই। টিলারসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সউদী আরব ও ইরাকের মধ্যে সহযোগিতা সমর্থন করে। তিনি বলে, ইরাকের পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ দু’দেশের বেসরকারী খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ চিহ্নিত করতে ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরাক ও সউদী আরব তাদের বন্দর খুলে দিতে ও সীমান্ত এলাকায় সড়ক উন্নয়নে একমত হয়েছে। দু’দেশ সউদী আরব ও ইরাকের মধ্যে বিমান ফ্লাইট চালু ও ইরাকে একট সউদী কনস্যুলেট খুলতেও রাজি হয়েছে। আবুধাবি ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক জ¦ালানি ও পানি কোম্পানি ইরাকে একটি অফিস খুলবে এবং সউদী রাসায়নিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সাবিক ইরাকে তাদের অফিস আবার খুলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’দেশ তাদের শুল্কচুক্তি পর্যালোচনা করবে এবং বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ বিনিময় করবে। গত গ্রীষ্মে ইরাক বাগগদাদে নিয়েজিত সউদী রাষ্ট্রদূত সামের আলবানের বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের জন্য অভিযুক্ত করে তাকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানোর পর ইরাক-সউদী সম্পর্ক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সউদী পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর বাগদাদ সফর করার পর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।
ফিচারস আর্কাইভ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।