কাশ্মীর ভ্যালিতে ১৯৮৬ সালে একটি মাত্র এতিমখানা ছিল। এখন চলছে ৭ শতাধিক। কোনোটা ব্যক্তি উদ্যোগে, কোনোটা ট্রাস্ট, আবার কোনোটা রাজ্য চালিত। সেভ দ্যা চিলড্রেনের জরিপ অনুসারে ভ্যালিতে দুই লাখ ১৫ হাজার এতিম শিশু আছে, যাদের ৩৭ শতাংশ সংঘাতের কারণে মা-বাবা...
এগুলো বিচ্ছিন্ন, আবার অবিচ্ছিন্ন ঘটনা। এগুলোর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, গালকালচার কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে গোটা জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরে এখন সশস্ত্র বিদ্রোহীর সংখ্যা দুইশ’-চারশ’র মতো। এ থেকে উপলব্ধি করা যায়, সশস্ত্র গ্রæপে সশরীরে যোগ দেওয়া...
এই চরমপন্থার রাষ্ট্রীয় প্রতিক্রিয়াও ছিল বন্দুক। বন্দুকের বিরুদ্ধে বন্দুক। সহিংসতার বিরুদ্ধে সহিংসতা। মহারাজার ভারতে যোগদানের শর্তে প্রথম ভারতীয় সৈন্যবাহিনী শ্রীনগরে পৌঁছেছিল ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর। পরে ১৯৫০ সালে অভ্যন্তরীণ আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় আধাসামরিক সিআরপিএফ ব্যাটালিয়ন কাশ্মীরে যায়। ১৯৮৯ সালে...
কাশ্মীরে সশস্ত্র পন্থার শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। এর আগে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। পাকিস্তানের পতাকা উঠিয়ে ‘তেরি জান, মেরি জান/পাকিস্তান পাকিস্তান’ শ্লোগানও হয়েছে। এখনও মাঝেমধ্যে হয়। কিন্তু, সশস্ত্র পন্থা ছিল না। ১৯৫৩ সালে শেখ আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের পর তার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সকে নিষিদ্ধ...
অবশ্য, শরীয়ত আর তরিকতের মধ্যে বিরোধ সেখানে অব্যাহত ছিল। জামে সমজিদ থেকে মাত্র মাইল খানেক দূরে অবস্থিত অপর একটি প্রতিষ্ঠান খানকাহ-ই-মওলা ছিল তরিকত-পন্থীদের আস্তানা। ডোগরা শাসনামলে এই দুই পক্ষের মধ্যকার দ্বদ্ব প্রকাশ্যে আসে। এমনকি সেটা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। ফলে,...
এ বিষয়ে কাশ্মীরি লেখক (তিনি ইসলামপন্থী বলে আমার মনে হয়েছে) অধ্যাপক শেখ সওকত হোসেনের বক্তব্য এখানে তুলে ধরা যায়। তিনি এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘বিশ শতকের প্রথমার্ধে শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ছিলেন অত্যাচারী রাজার শোষণের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের জনগণের সংগ্রামের প্রতিনিধি। আর শতাব্দীর...
বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকেই ব্যর্থতার কারণ বলে মনে করে জামায়াত। ওই নেতা জানান, ইখওয়ানি নামে একটা গ্রুপ ছিল। তারাও সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত হয়েছিল। মূলত, তাদেরকে ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে কাউন্টার ইনসারজেন্সি গ্রুপ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। পরে, তারাই...
এই রাজনৈতিক দলটি এখন নির্বাচনী রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নেই। কোনো নির্বাচনে তাদের দলের মূল-সদস্যরা (রুকন) ভোট দেন না। তাদের রুকনের সংখ্যা হাজার পাঁচেক। আর অসংখ্য সাধারণ কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। তারা নানা সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নেন। ১৯৮৮ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার পর...
জনসংখ্যার সিংহভাগ মুসলিম। সমাজের নানা কর্মকান্ডে ইসলামের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। বিশেষত জনবহুল কাশ্মীর ভ্যালি ও জম্মুর মুসলিম অধ্যুষিত ৪/৫টি জেলায়। স্বভাবতই, সশস্ত্র ‘আজাদি সংগ্রামের’র সঙ্গে ইসলাম ও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীই আলোচনা...
১কাশ্মীরে সশস্ত্র পন্থার শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। এর আগে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। পাকিস্তানের পতাকা উঠিয়ে ‘তেরি জান, মেরি জান/পাকিস্তান পাকিস্তান’ শ্লোগানও হয়েছে। এখনও মাঝেমধ্যে হয়। কিন্তু, সশস্ত্র পন্থা ছিল না। ১৯৫৩ সালে শেখ আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের পর তার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সকে নিষিদ্ধ...
আগেই বলেছি, শেখ আবদুল্লাহর জনপ্রিয়তা ছিল অনেক। ভারতকেই নিজের দেশ মেনেছিলেন শেখ। পাঠানদের আক্রমণ ঠেকাতে শেখের অনুসারী কাশ্মীরিরাই প্রতিরোধ শুরু করেছিল প্রথম। প্রশ্ন হলো- তাহলে এই পাকিস্তানপ্রীতির জন্ম হলো কিভাবে। হঠাৎ করেই মানুষ পাকিস্তানের প্রতি ঝুঁকে পড়েনি। মনস্তাত্তিকভাবে কাশ্মীরিদের পাকিস্তানাইজেশন...
ভারত বিরোধিতা মানেই পাকিস্তানপ্রীতি ভারতের প্রতি নাখোশ কাশ্মীরীরা। তাহলে কি তারা পাকিস্তানের পক্ষে? এটা একটা বাইনারি। এই বাইনারির সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটিশদের ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাক্ট-১৯৪৭ এর মাধ্যমে। সেখানে বলা আছে, ব্রিটিশ ভারতের প্রিন্সলি স্টেটগুলো দুটি ডমিনিয়নের (ভারত অথবা পাকিস্তান) যে কোনো...
লাহোরে পাকিস্তান প্রস্তাবিত হওয়ার পর উপমহাদেশের রাজনীতি বদলে যায়। কংগ্রেস বলে সর্বজনীন ভারত। মুসলিম লীগ বলে পাকিস্তান-পাকিস্তান। আবার কংগ্রেসের সর্বজনীনতার শ্লোগানের মধ্যেও সরদার প্যাটেলসহ একটা গ্রুপের মনে হিন্দু ভারতের স্বপ্নও বিকশিত হয়। প্রশ্ন ওঠে, জম্মু-কাশ্মীর কোথায় যাবে? ১. হিন্দুস্থান বনাম...
শেখ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচরের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন যা রাজ্যের জন্য ক্ষতির কারণ। ভারতীয় ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে এই লেখকের প্রশ্ন ছিল, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর পাকিস্তানে না গিয়ে সেক্যুলার ভারতে আসল। তারপরই ১৯৫৩ সালে...
‘দিল্লি এগ্রিমেন্ট’ কাগজে কলমে কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন দিলেও কাশ্মীরের প্রতি দিল্লির মনোভাব কখনোই বিশ্বস্ত হয়নি। শেখ আবদুল্লাহ-ই কাশ্মীরকে নেহরুর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন নেহরুর বিশ্বস্ত । কিন্তু, সেই বিশ্বাস বারবারই ভেঙেছে। দিল্লি এগ্রিমেন্টের আগে শেখ আবদুল্লাহ বিভিন্ন সময় দেশি-বিদেশি পক্ষের...
১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর মহারাজা ভারতে যোগ দিলেন শর্তসাপেক্ষে। ভারতীয় সেনাবাহিনী শ্রীনগরে পৌঁছল পরের দিন। উপজাতীয় লোকেরা পিছু হটল। পাকিস্তান পাঠালো সৈন্যবাহিনী। বরামুলা পর্যন্ত ভারত ফের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলো। মুজাফফারাবাদ রইল পাকিস্তানের অধীনে। যুদ্ধ চলল ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর মাস...