একজন মানুষের স্বপ্নের সাথে যখন অগণিত মানুষের স্বপ্ন মিশে যায়, তার চিন্তা কৃতকর্মের মাঝে যখন মানুষ আশার আলো দেখতে পায়, তখনই তিনি কিংবদন্তী হয়ে উঠেন। আর এই রুপাবয়বেই বিশ্ববাসী গুন্টার গ্রাসকে দেখতে পায় তার সমগ্র সৃষ্টিকর্মের মাঝে। গুন্টার গ্রাসের পুরো নাম গুন্টার ভিলহেলম গ্রাস। জন্ম পোল্যান্ডের বন্দর নগরী ডানজিগে ১৯২৭ সালের ১৬ অক্টোবর। পিতা-মাতার দ্বিতীয় সন্তান। পিতা ছিলেন মুদি দোকানদার। মা ডকের (জাহাজের) রাঁধুনী। গ্রাস ছিলেন কাশুবিয়ান আদিবাসী। গ্রাস দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে ডানজিগে (বর্তমান দানস্ক, পোল্যান্ড) তার শৈশব অতিবাহিত...
বিকেল। সূর্যের আলোর তেমন তেজ নেই। নিভে গেছে কমলা রঙের রোদগুলো। এখন পশ্চিম দিগন্তের বিশাল ক্যানভাসজুড়ে রক্তাভ এক ছবি ফুটে আছে। চারপাশে র্ঝিঝির্ েমৃদু বাতাস বইছে। মাথার ওপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি ওড়ে যাচ্ছে যার যার নীড়ে। মেহগনিগাছের মগডালে বসে...
ইমামে আহলে সুন্নাত,মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিলাত, ইসলামী বিশ্বের অনন্য প্রতিভাদ্বীপ্ত কালজয়ী মনীষী যুগশ্রেষ্ট মুহাদ্দিস ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী (রহ) এর দোয়া দরুদের একক সংকলন গ্রন্থ ‘আল-অজীফাতুল কারীমাহ’। এই গ্রন্থটি বিশিষ্ট লেখক, অনুবাদক ও গবেষক অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুর রহমান পাঠকের সুবিধার্থে...
আমীন সাজায়ী বেনামী কবির জন্ম : ২৩ মেহের মঙ্গলবার ১৩৫৯ ফারসি শৌরবর্ষে, ইরানের রাজধানী তেহরানে। তিনি বিখ্যাত একজন ফারসি কবি এবং সাহিত্যিক। তখন তুমি ছিলেনা এখন কোন দু:খ নেইস্বস্তিতে ও আছিতাদের পিছনে একটি খঞ্জর ও ছিল নাউৎখাত কর একটি মনস্তাপকে.......আমি মরে যাব মাটি...
ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে আজ অবধি জাগতিক ও ধর্মীয় উভয় স্থাপনার ক্ষেত্রেই ইসলামী স্থাপত্যকলা তার শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষর রেখে এসেছে। শুধু মসজিদই নয়, বরং স্কুল-মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাসাদ, দ‚র্গ, ঝর্ণা, গোসলখানা, বাগান, বসতবাড়ী প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রেই ইসলামী স্থাপত্যকলা তার অনুপম স্থাপত্যশৈলী প্রদর্শন করেছে। ১....
অর্ণব আশিক নিখোঁজ বাঘের মুখ মধ্য রাত খান খান ঘুম ভাঙা স্বপ্ন দৌড়ে পালায়শুধু হাহাকার ; শহরে গাঁয়েএ লাশ কার; বাঘের দাত ও নখেরখোদাই চিহ্ন লাশের উপর।সবুজ জমিতে চিত্রিত একখন্ড লালভোরের সূর্যের মত পরে আছে নিশ্চুপলাশ শুধু লাশ নয়, নয় শুধু...
আকাশী রঙের টি শার্টটা গায়ে চড়িয়ে প্রতিদিনের অভ্যাসগত স্টাইলে চুলের ভিতর আঙ্গুল চালাতে চালাতে অন্বেষা কে ডাকলো শ্রাবন- : এক কাপ চা হবে অনু? শ্রাবন আদর করে অনু বলে ডাকে। ভিতর থেকে মিষ্টি করে জবাব দেয় অনু - আসছি।ভারি মিষ্টি। বিয়ে...
একজন হুমায়ূন আহমেদ- বাংলা সাহিত্যজগতে আসা এক ধ্রুপদী জাদুকরের নাম। সে আসে ধীরে- আমাদের বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে কিন্ত‘ চলে যায় অনেকটা হঠাৎ করে। বাঙালির মননে ও চিন্তাশীলতার এক বিরাট অংশ জুড়ে তিনি স্বীয় কর্মদক্ষতায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। বিশেষত বাঙালি...
প্রিয় হুমায়ূন এমন চিঠিতে কেমন আছো জিজ্ঞেস করতে হয়না, জানি তুমি ওই আকাশেই আছো, ভালো আছো। আজ অন্যভাবেই শুরু করি, দেশে ও দেশের বাইরের পেক্ষাগৃহে চলছে তোমার ‘দেবী’। দেখার খুব ইচ্ছে, কিন্তু‘ মেয়েটার পরীক্ষা বলে এতদিন দেখা হয়নি, আজ বিকেলেই...
নরওয়ের কবি। ১৯০৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন অনুবাদ : কাজী জহিরুল ইসলাম একা এবং অনুতপ্তআমার দখলে একজন বন্ধু যার মধ্যে গুঞ্জরণ,‘ঈশ্বরের শান্তি’ আমার নিশাচর মনেদিনের আলো নিভে গিয়ে অন্ধকার নামে যখনতখনো তার দৃষ্টি স্পষ্ট নিজস্ব পথের গহনে।করে না উচ্চারণ কলহের...
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২)-এর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি মুসলিম রচিত বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী সমাজের অর্ন্তভ‚ক্ত। মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বহীন সময়ে বাংলা সাহিত্যে তাঁর আবির্ভাব ও প্রতিষ্ঠা একটি বিষ্ময়কর ঘটনা। এ সময়ে মুসলমান লেখকগণ ছিলেন স্বেচ্ছানির্বাসিত। তারা পাশ্চাত্য শিক্ষা-সংস্কৃতিকে বর্জন...
১০৬৭. ছুটছে যে জন দুন্য়া পিছে কিস্মতে তার অমঙ্গল সন্ধানী যে আখেরাতের পরিণামে সেই সফল। ১০৬৮. সকল কাজই মন্দ অসার দুন্য়া ভোগের, অর্জনের সকল কাজই শুভ সাধু দুন্য়াদারি বর্জনের। ১০৬৯. দুন্য়া-কারার প্রাচীর-গায়ে ছিদ্র করা প্রশংসার মন্দ ভারি ছিদ্র-ফোকর বন্ধ করা এই কারার। ১০৭০....
স্মৃতির নেপথ্যে একটি ডুব অপেক্ষমান নদীটি; বুকের ভেতরেকামনার থৈ থৈ জল। প্রগাঢ় গভীরেযখনই ছুঁড়েছি ঢিল, পুলকিত ঢেউতার শরীর দুলিয়ে চোখ মেরেমেরেনিকটে এগোত খুব! হাঁটুপথে নেমেদু› হাতে ছুঁতাম বুক, আঙুলের নিবেএঁকেছি পানের পাতা; প্রিয় সুষমারশরীরের ভাঁজেভাঁজে। গোপন শক্তিরাকানে কানে যেত বলে খেলবে...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর) এভাবে শিশু শুধুমাত্র একটি বর্ণের সাথে পরিচিত হচ্ছে না, সঙ্গে সঙ্গে সে তার পরিচিত পরিবেশে পরিদৃশ্যমান বিভিন্ন বিষয়ের সাথেও পরিচিত হয়ে উঠছে। এভাবে একটি বর্ণের সাথে পরিচয় ঘটাতে গিয়ে কবি সে বর্ণ দিয়ে তৈরি অনেকগুলো শব্দের সাথে বা...
ছড়া বা শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনায় বাংলাসাহিত্যে কবি ফররুখ আহমদের (১০ জুন ১৯১৮-১৯ অক্টোবর ১৯৭৪) অবদান অবিস্মরণীয়। তবে কবি হিসেবে তিনি যত পরিচিত ছড়াকার বা শিশুসাহিত্যিক হিসেবে তত পরিচিত নন। অথচ কলেবরের দিক থেকে কিংবা উৎকর্ষ বিচারেও শিশু-সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ, সুকুমার...