নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবার ভারত ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ। হিরো এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর একই ব্যবধানে ভারতের কাছেও হারলো লাল-সবুজরা। গতকাল বিকালে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৭-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় থাকলো ভারত। বিজয়ী দলের হারমানপ্রীত দু’টি এবং গুরুজান্ত সিং, আকাশদীপ সিং, ললিত উপাধ্যায়, অমিত রোহিদাস ও রামানদীপ একটি করে গোল করেন। আগের ম্যাচে ভারত ৫-১ গোলে হারিয়েছিলো জাপানকে।
গতকাল ম্যাচের শুরু থেকেই কোনঠাসা ছিলো বাংলাদেশ। এদিন ম্যাচে বল পজিশন নিয়ন্ত্রণে ছিল না বাংলাদেশের। একটি পেনাল্টি কর্ণারও (পিসি) আদায় করতে পারেনি তারা। এমনকি ভারতের বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের পায়ে বল লাগাতেও পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ফলে যা হবার তাই হলো। আসরে দ্বিতীয়বারের মতো বড় হারের স্বাদ নিতে হলো রাসেল মাহমুদ জিমিদের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত গোল হজম করার দায়গুলো ‘ভুলের উপর’ চাপিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ-খেলোয়াড়রা। তারা প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ভুলগুলো শুধরে ভালো হকি খেলবে ভারতের বিপক্ষে। এমনকি ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ কোচ মাহবুব হারুন বলেছিলেনও,‘ভারতের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবো আমরা।’ কিন্তু বাস্তবে কি দেখা গেল? আগের ম্যাচের চেয়েও করুণ দশা। ভাগ্য ভালো আরও বড় ব্যবধানে হারেনি বাংলাদেশ। ভারত শক্তিশালী দল। ম্যাচের আগে তারাই ছিল ফেবারিট। কিন্তু বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচেও যে এতটা খারাপ ফল করবে, তা কেউ প্রত্যাশা করনেনি।
মামুনুর রহমান চয়ন ও আশরাফুল ইসলাম-দলে দু’জন পিসি মাস্টার। কিন্তু পিসি আদায় করতে না পারলে তাদের দক্ষতা দেখানোরও কোন উপায় নেই। বরং পিসির দিক দিয়ে ভাগ্যটা প্রসন্নই ভারতের। তারা ১০টি পিসি পেলেও কাজে লাগাতে পেরেছে মাত্র দু’টি।
প্রথম কোয়ার্টারে তিনটি এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে দুই গোল। ম্যাচের সাত মিনিটে গুরুজান্ত সিং গোল উৎসবের শুরু করেন। সেই ধারায় ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিটে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় ভারত। তবে পেনাল্টি স্ট্রোক (পিএস) থেকেও গোল আদায় করেছিল তারা। কিন্তু পিসি পেলেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন স্পেশালিষ্টরা। যদিও চতুর্থ কোয়ার্টারে এসে পিসিতে সফল হয় ভারতীয়রা। নবম পিসি থেকে ষষ্ঠ গোলের দেখা মেলে তাদের। আর ৪৭ মিনিটে হারমানপ্রীত দলের পক্ষে দশম পিসি থেকে সপ্তম গোলটি আদায় করে নেন।
এমন হারেও খুশী বাংলাদেশ অধিনায়ক জিমি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগের ম্যাচে আমরা প্রথম দু’কোয়ার্টার ভালো খেলেছিলাম। এরপরেই ম্যাচ থেকে আউট হয়ে যাই। আর এই ম্যাচে সমান গোল হজম করলেও ম্যাচ থেকে আউট হয়ে যাইনি। তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারে ভাল খেলেছি।’ দু’ম্যাচে একটি পিসিও আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। যাকে নিজেদের দুর্বলতা বলেই মানছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জিমির কথা, ‘একটি পিসিও না পাওয়াটা আমাদের দুর্বলতা ছিল। আসলে পাকিস্তান কিংবা ভারতের মতো দলের সমক্ষমতাওতো দেখতে হবে। তাদের মোকাবেলার জন্য আমাদের বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে হবে।’
টানা দু’ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারলেও সংবাদ সম্মেলনে আসেননি কোচ মাহবুব হারুন। তবে ম্যাচে জিমিদের খেলাকে সাধুবাদ জানান ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামাল। তিনি বলেন, ‘কোচের নির্দেশনা অনুযায়ীই খেলেছে জিমিরা। তবে পিসি না পাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সবার বুঝতে হবে ভারত ও পাকিস্তান এশিয়ার জায়ান্ট। তাদের বিপক্ষে খেলতে হলে আগেই ব্যাকফুটে থাকতে হবে।’ অন্যদিকে আরও বড় ব্যবধানে জয়ের প্রত্যাশা ছিল বলে জানান ভারতীয় কোচ জয়ার্ড মারিজন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশি গোলে জয়ের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। তরেব ছেলেরা প্রত্যাশা অনুযায়ীই খেলেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।