Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চীনের বিশাল সামরিক মহড়া

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে আবারো বড়সড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন-ভারতকেন্দ্রিক সামরিক বিশেষজ্ঞরা। মহড়ায় সত্যিকার যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য উন্নত পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। যার মাধ্যমে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের নৌবহরের রণপ্রস্তুতি আরো কার্যকর হবে। বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় আবহ সৃষ্টি করে সেনা প্রশিক্ষণ দেয়াও এই মহড়ার অংশ ছিল। প্রায় গোটা বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে বেইজিং। একইভাবে এই সাগরের অংশবিশেষের ওপর নিজেদের মালিকানা দাবি করছে তাইওয়ান, ব্রæনাই, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। দক্ষিণ চীন সাগরের তলদেশে প্রচুর পরিমাণ তেল ও গ্যাস সম্পদ রয়েছে বলে মনে করা হয়। দক্ষিণ চীন সাগরের পানিসীমা নিয়ে এই বিরোধে মার্কিন সরকার বেইজিংয়ের প্রতিদ্ব›দ্বী দেশগুলোর পক্ষ নিয়েছে। সা¤প্রতিক সময়ে ওই সাগরে নিজের নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন, যাকে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী হিসেবে মনে করছেন সমালোচকরা। যার পাল্টা হিসাবে এবার বড়সড় সামরিক মহড়া চালাল বেইজিং। এদিকে, ডোকলাম নিয়ে বেশিমাত্রায় সংবেদনশীল ভারত। শুধু তাই নয়, উদ্ধতও বটে। এমনই মনে করছে চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম। সেকারণেই দোকলামে রাস্তা তৈরি নিয়ে ভিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু তার পরও চীন কোনোভাবেই দোকালামে রাস্তা তৈরি থেকে বিরত থাকবে না। চীনের সংবাদমাধ্যম একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, দোকালামে যেখানে চীনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার গন্ডগোল বেঁধেছিল তার ঠিক ১০ কিলোমিটার দূরে চুম্বি ভ্যালিতে রাস্তা তৈরি শুরু করে দিয়েছে চীন। এটা সেখানে রাস্তা তৈরির সঠিক সময় না হলেও। ওই এলাকায় রাস্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের পূর্ণ অধিকার বেইজিংয়ের রয়েছে বলেও সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে। সেখানে আরো দাবি করা হয়েছে ডোকলাম একেবারেই চীনের অংশ। ডোকলাম নিয়ে ভারত অতিরিক্ত পরিমাণে অহঙ্কারি আর নিজের সীমান্তের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে এই আশঙ্কায় বেশি মাত্রায় ভীত হয়ে পড়েছে। সে কারণেই ভারত এই বিরোধিতায় নেমেছে। এই বিরোধিতার কোনো যুক্তিই নেই বলে দাবি চীনের। এই ভয় থেকে ভারত যত তাড়াতাড়ি মুক্ত হবে ততই তাদের পক্ষে মঙ্গল বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সিনহুয়া, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • জার্জিস ১১ অক্টোবর, ২০১৭, ১:৫৭ এএম says : 1
    ভারতের প্রতিবেশি হিসেবে চীন আর পাকিস্তানই ঠিক আছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ