মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও চীনের মধ্যে ডোকলাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে পুনরায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডোকলাম তাদের অংশ, এজন্য সেখানে সেনা উপস্থিতির ঘটনা বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত নয়। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের অধিকার। খবরে বলা হয়, ডোকলাম সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে সঙ্কট দূর হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেও ওই এলাকায় চীনা গণমুক্তি ফৌজ বা পিএলএ’র প্রায় ১০০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত গ্রীষ্মে যে এলাকা নিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল তার চেয়ে এক হাজার ফুটেরও কম দূরত্বে মোতায়েন রয়েছে পিএলএ সেনারা। বেইজিংভিত্তিক সেনা বিশেষজ্ঞ ঝাও চেনমিং সাউথ চায়না মনিং পোস্টকে এ তথ্য দিয়েছেন। ডোকলাম এলাকা নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে ৭৩ দিন ধরে অচলাবস্থা চলার পরে ওই এলাকা থেকে উভয়পক্ষ সেখান থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নিলে গত ২৮ আগস্ট থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ভারত-চীন-ভুটানের ত্রিদেশীয় সীমান্তে অবস্থিত ডোকলামকে চীন তাদের অংশ বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে, ভুটানের দাবি- ওই এলাকাটি তাদেরই। ভুটানের দাবির সমর্থনে ভারতের সমর্থন রয়েছে। গত জুন মাসে ডোকলাম এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী সড়ক তৈরির কাজ শুরু করায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাতে বাধা দিলে চীন ও ভারতের মধ্যে সামরিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ টানাপড়েন ও পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ শেষে গত ২৮ অগস্ট ভারত ও চীন ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু স¤প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়ায়, জুন মাসে যে এলাকায় দু’দেশের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চীন একটি সড়ককে চওড়া করছে। চীনা নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে পাঁচশ’ চীনা সেনাও এসেছে। গণমাধ্যমের ওই খবরকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রাজনৈতিক মহলেও উত্তাপ সৃষ্টি হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যদি নিজের পিঠ নিজে চাপড়ানো শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে দেশবাসীকে ডোকলামে চীনের সড়ক নির্মাণ নিয়ে ওয়াকিবহাল করুন। এরপরেই ওইদিন রাতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ডোকলামে চীনা সেনাবাহিনী মোতায়েনের খবরকে নাকচ করে দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডোকলামকে কেন্দ্র করে আমরা কিছু গণমাধ্যমের রিপোর্ট দেখেছি। ২৮ আগস্টের পরে ডোকলামে ভারত-চীনের মধ্যে বিতর্কিত সামরিক অচলাবস্থার স্থান এবং এর আশেপাশের এলাকায় নতুন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থিতাবস্থা রয়েছে। এর বিপরীতে কিছু বলা ভুল। এর আগে সেনাসূত্রের বরাতে গণমাধ্যমে ডোকলামে রাস্তা নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে ৫০০ চীনা সেনাসহ ওই এলাকায় দেড়/দু’হাজার চীনা সেনা রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। এনডিটিভি, সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।