মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা শুরুর ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার রাজধানী কাবুলে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের দাবী ছিল একটাই- দেশ থেকে বিদেশী শক্তির বিদায়। হাজার হাজার আফগানী নারী-পুরুষ যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো-বিরোধী শ্লোগানে কাবুলের রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। বাড়ি যাও ইয়াঙ্কির দল-এমন শ্লোগান লেখা পশতুন ও ইংরেজী ভাষার ব্যানার ছিল বিক্ষোভকারীদের হাতে। আফগানিস্তান সলিডারিটি পার্টি এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। পার্টির এক সদস্য বলেন, আমরা আর দখলদারিত্ব সহ্য করতে পারি না। প্রতিদিন তারা (মার্কিন ও ন্যাটো) আমাদের উপর বোমাবর্ষণ করছে এবং আমাদের হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। তিনি আরো বলেন, আমারা সাধারণ মানুষ এখানে জড়ো হয়েছি ন্যায়বিচারের জন্য। আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর দল যত দ্রæত সম্ভব আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাক। জনগণের ইচ্ছেমতো আফগানিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ চাই আমরা। কোনো দখলদার শক্তি একটি দেশকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের কাছে নিয়ে যেতে পারে না এবং শুধু জনগণই দেশে গণতন্ত্র, শান্তি ও স্বাধীনতা আনতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আফগানিস্তানের বামপন্থী সলিডারিটি পার্টি, নারী অধিকার, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে বহিষ্কারের জন্য লড়াই করে আসছে। ৯/১১ হামলার পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে ১৬ বছর আগে, ২০১১ সালের ৭ অক্টোবর মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধ হয়ে ওঠে, যেখানে ২৪০০ মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছে। তবে জাতিসংঘের মতে, এই সংঘাতের সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে আফগানিস্তানের বেসামরিক জনগণকে। জাতিসংঘ সহায়তা মিশন আফগানিস্তান (ইউএনএএমএ)-এর মতে, ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছেছে। শুধু ৬ মাসেই বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৬৬২ জনে। নারী ও শিশু হতাহতের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে কাবুল সফরের সময়, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস জানিয়েছেন যে দেশটিতে আরো ৪,০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। এ নিয়ে আফগানিস্তানে ন্যাটোর মোট সেনা সংখ্যা ১৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছাবে। তালেবানদের মোকাবেলা করতে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি প্রয়োজন বলে মনে করেন ম্যাট্টিস। এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।