পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীর ব্যারাকে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিনিয়র বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত সিনহার মতে, সেখানে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের দায়িত্ব পুলিশ ও সিআরপিএফের হাতে তুলে দেয়া উচিত। তাহলে সেখানকার মানুষের জন্য তা মলমের মতো কাজ করবে। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান একটি প্রয়োজনীয় তৃতীয়পক্ষে পরিণত হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বার বার ভুলের জন্যই এমন হয়েছে। গত সোমবার হায়দ্রাবাদে কাশ্মীর ইস্যুতে এক আলোচনায় যশবন্ত সিনহা কাশ্মীরী জনতার সঙ্গে অবিলম্বে সংলাপে বসার ওপরে জোর দেন। তিনি বলেন, আগেই অনেক সহিংসতা হয়েছে। অনেক মানুষ তাতে প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। এখন এসব শেষ করার সময়। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে সেনাবাহিনী এগিয়ে থাকা এখন অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। গ্রাম অথবা শহর যেখানে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটুক সেনাবাহিনী আগে থাকছে এবং সিআরপিএফ ও পুলিশ তাদের পিছনে থাকছে। যশবন্ত জানান, তিনি জম্মু-কাশ্মীর এবং দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যধিক ব্যবহারের বিরোধী। সেনাবাহিনীর উচিত ব্যারাকে ফিরে যাওয়া। তিনি বলেন, কাশ্মীর একটি রাজনৈতিক সমস্যা। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী সংলাপ শুরু করা উচিত। জম্মু-কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন যাতে তিনি কাশ্মীর সমস্যা সমাধান গুলি অথবা গালিতে নয়, বরং কাশ্মীরিদের আলিঙ্গনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিলেন। সিনহা বলেন, কাশ্মীরী জনতা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যেদিন সংলাপ শুরু করার আগ্রহ দেখাবে ও সেখানকার লোকদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা ঘোষণা করবে, তখন থেকে রাজ্যের পরিস্থিতির নাটকীয়ভাবে উন্নতি হবে। ইনডিয়া টাইমস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।