নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। আর এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে গতকাল একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। বেনোনির উইলোমুর পার্কে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মুশফিক। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ৬৫.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষনা করে বাংলাদেশ। ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির, তাসকিন ৮ রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রোটিয়া পেসার মিগায়েল প্রিটোরিয়াসের করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। জানা গেছে পেশিতে টান খাওয়ার কারণে দ্রæতই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তামিমের ইনজুরি খুব একটা গুরুতর নয়। তবে ইনজুরির অবস্থা বুঝতে তাঁকে স্ক্যানের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া দলের এক প্রতিনিধি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে তামিম ভালোই আছেন। আর তাঁর ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যদিও সব কিছু নিশ্চিত হবে স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর।’
সিনিয়র সতীর্থ তামিম মাঠ ছাড়লে হাল ধরেন সৌম্য। শুরুর দিকে সতর্ক সৌম্য খানিকবাদের স্বরূপে ফিরেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের রান রেট বাড়াতে থাকেন তিনি। দশ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪৫। দুই বাঁহাতি সৌম্য ও ইমরুল দক্ষিণ আফ্রিকার তরুন ফাস্ট বোলার ওকুলে চেলের বিপক্ষে হাত খুলে খেলার সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি। ১১তম ওভারেই স্কোর পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের। জুটির ফিফটি গড়ে দলকে ভালো ভিত গড়ে দেন দু’জনে। কিন্তু ২০তম ওভারে টাইগার ক্যাম্পে আঘাত হানেন লেগ স্পিনার শন ভন বার্গ। ৩৪ রান করে উইকেট জমে যাওয়া ইমরুলকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ইমরুলের পর দ্রæত বিদায় নেন সৌম্যও। ঠিক লাঞ্চের আগে প্রিটোরিয়াসের বলে ২৩তম ওভারে ৪৩ রান করে কট বিহাইন্ড হন এই ওপেনার। দুই উইকেটে ৯২ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল।
বিরতির পর ২৬তম ওভারে মমিনুল ও মুশফিকের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের স্কোর একশো ছাড়িয়ে যায়। শুরুর দিকে সতর্ক ব্যাটিং করা মুশফিকও বাজে বলে শাসন করে রানের দেখা পান। দুই বার বাউন্ডারির খোঁজ পাওয়া মুশফিক দ্রæত দুই অংকের ঘরে পৌঁছে যান। ৩৭তম ওভারে চার হাঁকিয়ে দলের স্কোর দেড়শ ছাড়া করেন অধিনায়ক মুশফিক। পরের ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ফিফটির পথে এগোতে থাকেন তিনি। একই পথে হেঁটে চল্লিশের ঘরে পৌঁছে যান মমিনুল হকও। ইনিংসের ৪১তম ওভারে ৫৩ বলে সাত চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পৌঁছে যান এই বাঁহাতি।
দলের স্কোর তখন দুই উইকেটে ১৮২ রান। ঠিক পরের ওভারেই অর্ধশত পূর্ণ করেন মুশফিক। ৭১ বলে ৬ চারের সাহায্যে অর্ধশত পূর্ণ করেন টাইগার কাপ্তান। মুশফিক-মমিনুলের জোড়া ফিফটিতে নিজেদের সংগ্রহ দুইশত রান পাড় করে টাইগাররা। তার কিছুক্ষণ পরই ৪৭ তম ওভারের চতুর্থ বলে হেইনরিক ক্লাসেনের বলে মাইকেল কোহেনে হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মমিনুল হক। ব্যাট হাতে ৭৩ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন তিনি। পড়ের বলেই ম্যাথু ক্রিস্টেনসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন টাইগারদের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারপর, মুশফিককে সঙ্গ দিতে উইকেটে যোগ দেন সাব্বির রহমান। মাইকেল কোহেনের করা ৪৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ট্রিটজকের হাতে ক্যাচ দিয়ে মুশফিকও বিদায় নেন। কোহেন তার পরের বলে বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসকেও আউট করেছেন হেইনরিক ক্লাসেনের ক্যাচ বানিয়ে।
৬ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান সংগ্রহ করে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। চা বিরতি শেষে উইকেটে থাকা সাব্বির রহমানের সাথে যোগ দেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। সাব্বির-মিরাজ দুজনই দেখে শুনে খেলতে থাকেন।
এই দুই তরুণ ক্রিকেটারের ব্যাটেই ২৫০ রান পাড় করে বাংলাদেশ দল। তাদের জুটিও ছাড়িয়ে যায় অর্ধশত রান। কিন্তু টিলাদি বোকাকোর করা ৬৪ তম ওভারের শেষ বলে ছন্দ পতন হয় মিরাজের। ৩৮ বলে ১৮ রান করে হেইনরিক ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনিও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।