Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাশরাফিকে ছাপিয়ে অধিনায়ক তামিম

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

অধিনায়ক হিসেবে জয়ের শতাংশে তামিম ইকবাল এখন বাংলাদেশীদের মধ্যে শীর্ষে। ২৩ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন ১৪ বার। আর তাতেই শতকরার হিসেবে পিছনে পড়ে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজসহ তামিম এখন পর্যন্ত সর্বোমোট ৮টি সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যার মাঝে ৬টি সিরিজেই বাংলাদেশ দল জয় লাভ করেছে। এরমধ্যে ৩টি দেশে এবং বাকি ৩টি ভিনদেশে।
মুশফিক যুগের পর বিসিবি মাশরাফিতে আস্থা রাখে ২০১৪ সালে। সেই আস্থার প্রতিদান দিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তিনি অডিআইতে বাংলাদেশর ইতিহাসে সর্বপ্রথম এক ম্যাচে চারজন পেসার নিয়ে ঘরের মাঠে খেলতে নামার সাহস দেখান। সেই সময় সবচেয়ে বেশি নজরে আসে দলের সবার মাঝে একাত্বতা। সেই ফলশ্রƒতিতে এসেছিল একের পর এক জয়। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতন দলের সাথে ঘরের মাঠে ওডিআই সিরিজ জয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। ২০১৭ আইসিসি ট্রফিতে সেমি ফাইনালে পৌঁছানো কিংবা ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ জয়ের একদম কাছাকাছি চলে যাওয়া। সবই এসেছিলো ম্যাশের ছোঁয়ায়। ৮৮ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি পেয়েছিলেন ৫০টি জয়। শতাংসের হিসেবে তা ৫৮.১৩। অধিনায়ক হিসেবে ৫০ ম্যাচে ২৩ জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সাকিবের জয়ের শতাংশ ৪৬.৯৩। তার অবস্থান তিন নম্বরে। আর চারে থাকা হাবিবুল বাশার সুমনের (বর্তমান নির্বাচক) সাফল্যের হার ৪২.০২ শতাংশ।
বুধবার গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি, তামিম অধিনায়কত্বে ঠিক এই শতাংশের হিসেবেই মাশরাফিকে ছাপিয়ে গেলেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তামিমের জয়ের শতকরা হার এখন ৬০.৮৬। এই বাঁহাতি ওপেনার এখন পর্যন্ত ৮টি সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশকে। যার প্রথমটি শুরু হয় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে। সেই সিরিজের তিনটি ম্যাচ হেরে হোয়াটোয়াশ হয়েছিলো টাইগাররা। এরপর প‚র্ণাঙ্গ অধিনায়ক হিসেবে ২০২১ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও ধবল্ধোলায়ের শিকার হয় তামিমের দল। অধিনায়ক হিসেবে কেবল এই দুটি সিরিজই হাতছাড়া হয় তামিমের। তবে সফলতার পাল্লাই ভারি এই অধিনায়কের। তার অধীনে সিরিজ জয় আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে দুবার, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের মতন দলগুলোর সাথে একবার করে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ও জিম্বাবুয়ের সাথে আছে ঘরের বাহিরে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব।
ওডিআই সুপার লিগের টেবিলে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে দুই নম্বরে। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের সাথে মাত্র ৫ পয়েন্টের ব্যবধান। তাছাড়া তামিম যে দুটি সিরিজ অধিনায়ক হিসেবে খুইয়েছেন তার একটিতেও ছিলেন না সাকিব আল হাসান এবং চোট জর্জরিত আরেক কার্যকরী অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে পেয়েছিলেন কেবল এক ম্যাচে। মাশরাফির সাথে তামিমের তুলনাটা ঠিক কার্যকরী হবে না, কারণ দুজন পেয়েছেন ভিন্ন সময়ের ভিন্ন রকম দুটি দল ও আলাদা চ্যালেঞ্জ। তবে এটুকু বলা যায় যে মাশরাফির পালাবদলে সবচেয়ে কার্যকরী অধিনায়কের কাঁধেই পড়েছে বাংলাদেশের দায়িত্ব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তামিম

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ