নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা না-খেলা নিয়ে বিতর্ক যেন আর শেষই হচ্ছে না। তা এমনই রূপ নিয়েছে যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাত্রাপথেই তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এর ব্যাখ্যা দিয়ে স্ট্যাটাস দিতে হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে।
সর্বশেষ বিতর্কটা শুরু হয়েছে গত রোববার একটি মুঠোফোন কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নাম ঘোষণার পর তারই দেয়া বক্তব্যে। সর্বশেষ একটি ইংরেজি দৈনিকে এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে, যাতে বোর্ড সভাপতি ‘তামিম মিথ্যা কথা বলেছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন। কথাটা তিনি বলেছেন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল : তামিম বলছেন যে, বিসিবি তাঁকে টি-টোয়েন্টি নিয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়নি।
এই সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি তামিমের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে কতবার কথা হয়েছে, সবিস্তারে তা জানিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাস ছুটি নেওয়া তামিম মাস দুয়েক আগে আর টি-টোয়েন্টি খেলতে চান না বলে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন নাজমুল হাসান। বোর্ড সভাপতির এই সাক্ষাৎকারের পরই আক্ষেপ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তামিম। যা হুবহু তুলে দেওয়া হলো-
তামিমের ফেসবুক স্ট্যাটাস
আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড কমিউনিকেট করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি, এরকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি। বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি ¯্রফে নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই। সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।