নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে গতকালই শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর। মাঝে একদিনের বিরতি দিয়ে টানা তিন ম্যাচের সিরিজের পরই শুরু হবে ওয়ানডের লড়াই। ৫ আগস্ট এই হারারেতেই হবে প্রথম ওয়ানডে। ৫০ ওভার সংস্করণের এই সিরিজে খেলতে গতপরশু রাত পৌনে ২টায় জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যাওয়ার আগে তামিম জানান, জিম্বাবুয়ের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো দল হলেও খুব সহজে হারানো যাবে না।
২০১৪ সালের পর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর কোন ওয়ানডে হারেনি বাংলাদেশ। এই সময়ে জিতেছে টানা ১৯ ম্যাচ। প্রতিপক্ষের শক্তির তুলনায় বাংলাদেশ নামে-ভারে অনেকখানি এগিয়ে। সেই সঙ্গে আসন্ন সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগেরও অংশ নয়। তবু এসব সিরিজেও কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার পক্ষে নন ওয়ানডে অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে নতুন আদলের দল পাঠালেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যাচ্ছে অভিজ্ঞদের নিয়েই। ব্যক্তিগত কারণে নেই কেবল সাকিব আল হাসান। তবে তামিম সঙ্গী হিসেবে ঠিকই পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমদের। তাদের সঙ্গে এদিন সফরসঙ্গী তাইজুল ইসলামও। সেখানে গিয়েও তাদের বসিয়ে অন্যদের খেলার সুযোগ দেখেন না তামিম।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সাতে, জিম্বাবুয়ে ১৫তম। তামিম অবশ্য র্যাঙ্কিংয়ের এই পার্থক্য নিয়ে ভাবছেন না। জিম্বাবুয়ে দলের শক্তি-সামর্থ্য জানেন বলেই হয়তো ঝুঁকিটাও মনে করিয়ে দিলেন সংবাদকর্মীদের, ‘পরিকল্পনা একই থাকবে- জিততে চাই। আসলে আমি সব সময় একটা কথা বলি, (র্যাঙ্কিংয়ে) কে আগে, কে পরে, এটা কোনো বিষয় নয়। কে ভালো খেলছে, এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। কিন্তু ওদের দেশে যে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যাবে, তা নয়।’
গত বছর এপ্রিলে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। তামিম সেই উদাহরণও দিলেন, ‘শেষ কয়েকটা সিরিজ যদি দেখেন, ওরা কিন্তু উন্নতি করছে। পাকিস্তানের মতো দলও কিন্তু ওখানে গিয়ে হেরেছে।’ তামিম তাই জানালেন, জিম্বাবুয়ে গিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকার সুযোগ নেই, ‘আমাদের রিল্যাক্স করার কোনো সুযোগ থাকবে না। যদি ভালো করতে চাই, প্রথম বল থেকে চেষ্টাটা থাকতে হবে। অবশ্যই আমরা ভালো দল। কিন্তু খেলায় হারজিত নির্ভর করে কে ভালো খেলছে তার ওপর, কে ভালো দল তা দিয়ে হয় না। আমরা যদি ভালো খেলি, অবশ্যই আমরা জিতব।’ তামিমের কথাকে সত্যি প্রমাণ করেই যেন প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকেও হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুইয়ানরা!
তামিমের কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চেয়েছিলেন, যেহেতু এটা ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়, তাই দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে কি না। তরুণদের সুযোগ দেওয়া হবে কি না- এসব জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে। তামিমের উত্তর, ‘আমার তো মনে হয় তরুণেরা সব সুযোগই পাচ্ছে এখন। একটা দলে ১৫ জন থাকে, সবাইকে তো খেলানোর সুযোগ থাকে না। আপনি যদি শেষ সিরিজেও দেখেন, তরুণেরাই খেলেছে। এই সিরিজে মুশফিক ঢুকছে, সে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয় না তরুণ বা বৃদ্ধ, এটা নিয়ে ইদানীং বেশি কথা হচ্ছে। যাদের সামর্থ্য আছে, তারাই সুযোগ পাবে ১৫ জনে বিশেষত। সেরা একাদশই আমরা বেছে নেব।’ বাংলাদেশের এই ওপেনার মনে করিয়ে দিলেন, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পাড়ার ক্রিকেট নয় যে একে-ওকে খেলিয়ে দেওয়া হলো, ‘১৫ জনে অনেক সময় অনেক খেলার সুযোগ পায় না। এ রকম যদি সুযোগ থাকে, আমরা খেলাতে পারি, দলের জন্য ভালো হবে। কিন্তু যেটা বললাম, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক সিরিজ। পাড়ার খেলা নয়, আমি একে-ওকে খেললাম। যে-ই হোক, যে দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য, সে অবশ্যই খেলবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।