Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

দক্ষিণাঞ্চলে দেড় সহস্রাধিক মন্ডপে পূজা উদযাপন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এবার এক হাজার ৬২৬টি মন্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ থেকে এসব পুজা মন্ডপকে তিন ভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৫শ’ মন্ডপকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বা স্পর্ষকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এছাড়া আরো সাড়ে ৫শ’ মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর সাধারন বা ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে ৫শ’ মন্ডপকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
হিন্দু স¤প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ ও আনন্দঘন ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় চীরাচরিতভাবেই পালিত হয়ে থাকে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারো বরিশাল মহানগরীতে ৭০টি ছাড়াও জেলায় ৫০৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৭৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ। আর গুরুত্বপূর্ণ ১৯৪টি। পটুয়াখালীতে ১৮১টি মন্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে ৭৫টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ। ভোলাতে দুর্গাপূজার সংখ্যা ১০৩টি। যার মধ্যে ৪৮টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ। পিরোজপুর জেলায় এবার ৪৪৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছ। যার মধ্যে ১২০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছ। আর ১৪০টি গুরুত্বপূর্ণ। বরগুনাতে মোট পুজা মন্ডপের সংখ্যা ১৫০টি। এর মধ্যে ৫৫টি মন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর ৬৯টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলায় মোট পুজা মন্ডপের সংখ্যা ১৭০টি। এর মধ্যে ৫৩টি মন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৪৪টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেই যথাযথ ধমীয় মর্জাদা সহ উৎসাহ উদ্দিপনার সাথে শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ বিভাগ থেকে এলক্ষে নিরাপত্তমূলক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বরিশাল মহানগর পুলিশ ও বরিশাল রেঞ্জ-এর শীর্ষ পর্যায় থেকে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রতিটি পুজা মন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র ও নিরস্ত্র পুলিশ ছাড়াও আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশের বিশেষ শাখা ছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশ এবং সাদা পোশাকে সশস্ত্র পুলিশও নজরদারী করবে। ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলার এসপি স্থানীয় পুজা কমিটির সাথে একাধিক বৈঠক করে পুজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ আইনÑশৃংখলার বিষয়ে মতবিনিময় করে দিকনির্দেশনাও প্রদান করেছেন। বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি বিষয়টি নিয়ে সবগুলো জেলার এসপিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। প্রতিটি থানার ওসিদের সাথে সংশ্লিষ্ট এসপি’দের নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করতেও বলা হয়েছে। পুজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স ছাড়াও প্রতিটি জেলার স্পেশাল আর্মড ফোর্স থেকেও থানা পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠান হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সর্বশেষ গত বুধবার পুজা কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছেন। তিনিও কমিটি মতামত গ্রহন সহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এবার পুজা মন্ডপের আসেপাশে কোন ধরনের মেলা বসতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের সময়সূচিও ঠিক করে দেয়া হয়েছে। বরিশাল মহানগরীতে ৭০টি মন্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও পারিবারিক পর্যায়েও কিছু পুজা উদযাপিত হবে বলে জানা গেছে। এবারের দুর্গাপূজা শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত কোন ধরনের বিশৃংখল পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুজাকে কেন্দ্র করে কোন মাদকের ব্যবহারকে কঠোরভাবে দমনের কথা তিনি পুজা উদযাপন পরিষদকে জানিয়েছেন।
শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদযাপনে বরিশাল মহানগর এবং রেঞ্জ পুলিশ ছাড়াও প্রতিটি জেলা ও থানা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রন কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রনে পুলিশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও মহানগর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ

৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ