Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার দাবি বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খলা চলছে অভিযোগ করে একাজে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহŸান জানিয়েছেন। গতকাল (রোববার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিএনপিকে ত্রাণ বিতরণে সরকার বাধা দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের কার্যক্রম লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণে চরম বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেখানে কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই, প্রায় ফেল করে যাচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই বিশাল সমস্যা মোকাবেলায় সরকারের অবিলম্বে জাতীয় পর্যায়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে নিয়ে আলোচনা করে সকল মানুষকে এখানে সম্পৃক্ত করাটা অত্যন্ত জরুরি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো উদ্যোগী হওয়ার আহŸান জানিয়ে ফখরুল বলেন, মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নাগরিকত্ব দিয়ে সসম্মানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে বিএনপি ‘রাজনীতি করছে’ বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদও জানান বিএনপি নেতারা।
কক্সবাজার ঘুরে আসা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের প্রতি আহŸান জানাব, অবিলম্বে দেশি-বিদেশি যত সহযোগিতা ও অনুদান এসেছে, তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সেনাবাহিনী নিয়োগ করুন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো রাজনীতি নয়, আসুন দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করি। জাতীয় দুর্যোগে যখন একসঙ্গে কাজ করা কর্তব্য, তখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ত্রাণ কাজে বাধা প্রদানের মতো নোংরামী থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সরকার ও মাথা মোটা মন্ত্রীদের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি। বিএনপিকে বাধা দিলেও অন্য দলগুলোকে ত্রাণ বিতরণ করতে দিয়ে সরকার দ্বিমুখী আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। ১৩ সেপ্টেম্বর আমাদেরকে ত্রাণ বিতরণ করতে বাধা দেওয়া হলেও ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সাহেবকে ত্রাণ বিতরণ করতে এবং মঞ্চ করে ব্যানার লাগিয়ে বক্তৃতা দিতে দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও সহায়তা দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে যে কমিটি করা হয়, তার প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন মির্জা আব্বাস। তিনি জানান, ২২ ট্রাকের ত্রাণ সামগ্রী স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সফরকালে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ত্রাণ তৎপরতা দেখলেও সরকার ও আওয়ামী লীগের তেমন কোনো কার্যক্রম দেখিনি। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা চাঁদা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অসহায় মানুষদের কাছ থেকে ক্ষমতাসীনদের চাঁদাবাজির খবর শুনেছি। এই অপরাধে যুব লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বর্তমানে কারাগারে আছেন। কেন্দ্রীয় ত্রাণ টিমের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগে বিএনপির স্থানীয় ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার নিন্দাও জানান মির্জা আব্বাস। নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ