নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০৯ সালে শ্রীলংকা দলের টিম বাসের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার পর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন একদম বন্ধ হয়েই গিয়েছিল। মাঝে ছোট দলগুলো সফরে গেলেও বড় কোনো দল কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো আসর বসেনি। নিজেদের হোম ম্যাচগুলোও পাকিস্তান খেলতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে সা¤প্রতিক সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর আলোচনায় নতুন হাওয়া লাগে। তারই ফলশ্রæতিতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পাকিস্তানের মাটিতে বিশ্ব একাদশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের আয়োজন করে। ক্রিকেট বিশ্বের সেরা সেরা ক্রিকেটাররা আছেন বিশ্ব একাদশের এই স্কোয়াডে। যার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ গুনতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)।
ইতিমধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ নামে তিন ম্যাচের সিরিজের একটি ম্যাচ হয়ে গেছে। বিশ্ব একাদশে আছেন- ফাফ ডু প্লেসিস, তামিম ইকবাল, হাশিম আমলা, ডেভিড মিলার, জর্জ বেইলি, ড্যারেন স্যামি, মরনে মরকেল, ইমরান তাহিরের মতো ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক এইসব ক্রিকেটারদের বিশাল অর্থ দেবার পাশাপাশি নিরাপত্তায় প্রচুর অর্থ ঢালছে পিসিবি। এই তিন ম্যাচের সিরিজ আয়োজনে প্রায় ২.৫-৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচের পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হচ্ছে ১.১ মিলিয়ন ইউএস ডলার। অন্যদিকে ক্রিকেটারদের পকেটও ভরছে। যদিও পিসিবি কিংবা আইসিসি কেউ নিশ্চিত অর্থের পরিমাণ জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিশ্ব একাদশের স্কোয়াডে থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটার পাবেন ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। বিশ্ব একাদশের হয়ে প্রথম ম্যাচে ১৮ বলে ১৮ রান করেছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম।
তবে দীর্ঘ সময় পর ক্রিকেট ফিরলেও একে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য কঠিন এক যাত্রা হিসেবে মনে করছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। টেস্ট খেলুড়ে দেশ পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরায় একে তিনি দেখছেন বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবেই। সা¤প্রতিক এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘লাহোরে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে পিসিবির তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য একটা ইতিবাচক দিক।’
তবে পরক্ষণেই মনে করিয়ে দিলেন, এই সিরিজ দিয়ে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের যাত্রা শুরু করাটা পিসিবির জন্য যে এক কঠিন শুরু- ‘এটা পিসিবির জন্য কঠিন এক যাত্রা। নিজ দেশে খেলতে ও খেলা দেখতে পাকিস্তানের খেলোয়াড় ও ভক্তরা মুখিয়ে আছে।’ এ সময় তিনি পাকিস্তানে দ্রæত ও নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, ‘আমি আশাবাদী যে পাকিস্তানে দ্রæত ও নিরাপদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে।’
পাকিস্তানে কীভাবে নিরাপদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো যায়, সেই লক্ষ্যে গিলস ক্লার্কের নেতৃত্বে আইসিসি পাকিস্তানে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে জানিয়ে আইসিসি প্রধান বলেন, ‘ঘরের মাটিতে খেলতে পারাটা পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ইতিবাচক হবে। আর এ কারণেই আইসিসি গিলস ক্লার্কের নেতৃত্বে পাকিস্তানে একটি টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠা করেছে। দ্রæত কিভাবে পাকিস্তানে নিরাপদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো যায় সে বিষয়ে এই টাস্কফোর্স নিয়মিত কাজ করবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।