নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চট্টগ্রামের ক্রিকেটের আলো মানেই এখন তামিম ইকবাল। আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, নাফিস ইকবাল, আফতাব আহমেদদের পর চাঁটগার সন্তান হিসেবে তামিম এখন দেশেই নয় বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। টেস্ট ৮ সেঞ্চুরি ২৪ ফিফটি, ওয়ানডেতে ৯ সেঞ্চুরি ৩৮ ফিফটি ও টি-টোয়েন্টিতে এক সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটি হাঁকিয়েছে তিনি। সেই সুবাদে দেশের তিন ফরটের সেরা ব্যাটসম্যান এখন তিনিই। ব্যাট হাতে তামিমের আলোতেই এখন আলোকিত দল। চট্টগ্রামের সন্তান হওয়াতে তাকে নিয়ে আশা ও প্রত্যাশা চাটগাঁবাসীর একটু বেশি। তাই নিজের মাঠে এলেই তামিমের ব্যাটিং দেখতেই দর্শকরা ছুটে আসেন মাঠে। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে নিজ মাঠে ভক্ত ও দর্শকদের প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেননি দেশ সেরা এই ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকায় খেলেছেন নিজের ক্যারিয়ারের ৫০ তম টেস্ট। গতকাল ৫১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন অজিদের বিপক্ষে নিজের শহরে। কিন্তু সবাইকে হতশা করে আউট হয়েছেন মাত্র ৯ রানে। এখন পর্যন্ত নিজের মাঠে তামিম শুধু টেস্টেই একটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ফিফটির সংখ্যা মাত্র ৬টি। অন্যদিকে ১৪ ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে তামিমের অবস্থা আরো খারাপ। এখন পর্যন্ত কোন সেঞ্চুরি পাননি। আর ফিফটির সংখ্যাও মাত্র ৪টি। নিজের মাঠে ৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোন ফিফটিও করতে পারেননি তিনি। দারুণ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তামিম শুধু নিজের মাঠেই এখন পর্যন্ত আলো ছড়াতে পারেননি।
ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসে তামিমের ব্যাট থেকে ৭১ ও ৭৮ রানের দারুন দুটি ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় টাইগাররা। তাই চট্টগ্রামের তার ব্যাটের উপর দারুণ ভরসা ছিল দলের। তবে ব্যাট হাতে নেমে সকালে নাথান লায়নের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডাবিøউর শিকার হন তিনি। তার বিদায়ের তখন সবচয়ে বেশি আহত হয়ছেন চট্টগ্রামবাসী। ২০০৮ এ টেস্ট অভিষেকের পর থেকে চট্টগ্রামে ১৩ ম্যাচ খেলেছেন তামিম এখানে ৩২.৯৫ গড়ে করেছেন ৭৯১ রান। অন্যদিকে ১৭৩ ওয়ানডে ম্যাচে ৫৭৪৩ রান করা তামিম নিজ শহরে খেলেছেন মাত্র ১৪ ম্যাচ। যেখানে ৪১.৪১ গড়ে করেছেন ৪৯৭ রান। তার ব্যাট থেকে এই মাঠে সর্বোচ্চ ৯৫ রানের একটি ইনিংস দেখতে পেয়েছির ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে টেস্টে নিজ মাঠে সেঞ্চুরি না থাকার আপেক্ষপটা দূর হয়েছে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে। এছাড়াও ৫৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা তামিম ইকবালের নিজ মাঠে মাত্র ৪ ম্যাচেই খেলার সুযোগ হয়েছে। যার সবকটিই ২০১৪ সালে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০, দ্বিতীয় ম্যাচে ২ রানে আউট হন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। একই বছর নেপালের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩০ রানের অরেকটি ইনিংস খেললেও দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ০ রানে। হয়তো নিজ শহরে চাপেই ভেঙ্গে পড়েন এই তারকা!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।