Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাম রহিমের ডেরায় অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা

| প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিমের বিতর্কিত আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান ডেরা সাচা সৌদার ভেতরে অনুসারীদেরকে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালে ভারতের গোয়েন্দারা এ ইস্যুকে প্রথমবারের সবার সামনে নিয়ে আসেন। আর তখন থেকেই প্রশ্নটি অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, আসলেই সিরসায় অবস্থিত ডেরার সদর দফতরে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো? শুক্রবার (২৫) ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর তার অনুসারীদেরকে রাইফেল ও পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামতে দেখা। আর তাতে পুরনো সে অভিযোগ আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। রাম রহিমের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর অনুসারীরা রাস্তায় নেমে আসে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে গোয়েন্দারা দাবি করেছিলেন, রাম রহিমের ডেরার ভেতর অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতে সাবেক সেনা সদস্যদের ব্যবহার করা হতে পারে। সেইসঙ্গে ডেরা থেকে দূরে থাকার জন্য সেনাদের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। অবশ্য ডেরা তল্লাশি করে অস্ত্রের মজুদ কিংবা প্রশিক্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সেসময় দাবি করেছিল পুলিশ।
আরেক বিতর্কিত ধর্মগুরু রামপালের অনুসারীরা তার গ্রেফতার ঠেকানোর চেষ্টা করার পর অস্ত্রের প্রশিক্ষণ ইস্যুটি ২০১৪ সালে আবারও সামনে এসেছিল। পুলিশ রামপালকে তার সাতলোক আশ্রম থেকে গ্রেফতার করতে আসলে অনুসারীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ছয় ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
২০১৪ সালের সাতলোক আশ্রমের ভেতরে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হরিয়ানা সরকারের কাছে একটি নোটিশ জারি করেন।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ডেরায় যেকোনও ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এড়ানো উচিত। সতর্ক করে বলা হয়, রামপালকে গ্রেফতার করতে গিয়ে যে ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, ডেরায় তার চেয়ে বেশি সহিংসতা হবে।
তবে ২০১৫ সালে ডেরাকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে দেয় হরিয়ানা সরকার। আদালতে হরিয়ানা সরকার দাবি করে, ডেরার ভেতর তদন্ত চালিয়ে কোনও ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র মজুদ রাখার আলামত পাওয়া যায়নি। হরিয়ানার অ্যাডভোকেট জেনারেল বলদেব রাজ মহাজন টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে দাবি করেন, ডেরার ভেতরে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাদের সুপারিশটি পুরনো। ‘আগের সরকার ডেরায় কিছু পায়নি।’ উল্লেখ্য, শুক্রবার ১৫ বছরের পুরনো এক ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারপতি জগদীপ। ২০০২ সালে নিজ আশ্রমে দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণ করার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। রায় ঘোষণার পর পরই ক্ষোভ জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন রাম রহিমের ভক্তরা। পাঁচকুলার বিভিন্ন জায়গায় তাÐব শুরু করেন তারা। ওইদিনের সহিংসতায় ৩৬ জন নিহত হয়। রায় ঘোষণার পর একটি সরকারি হেলিকপ্টারে করে ধর্মগুরুকে রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয়। রোহতক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সুনারিয়ার ডিস্ট্রিক্ট জেলের একটি বিশেষ সেলে তাকে রাখা হয়। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • Kamrul Hasan ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৯:৪৫ এএম says : 0
    এতেই বুঝা যায় হিন্দু ধর্ম মিথ্যা ধর্ম ৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ