পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখ মুসলিম সউদী আরবের মক্কায় সমবেত হচ্ছেন। এবার শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের হজযাত্রীরাও সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বী দেশ সউদী আরবে হজ পালন করছেন। কারণ ২০১৫ সালে মক্কায় পদদলিত হয়ে ইরানের অনেক হজযাত্রী নিহত হওয়ায় দেশটি কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণে ২০১৬ সালের হজে অংশ নিতে পারেনি। এছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক সঙ্কট এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গ্রæপের কোণঠাসা হয়ে পড়ার মধ্যদিয়ে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে হজ পালনের উদ্দেশে আসা ৪৭ বছর বয়সী ইনি নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত, কারণ পবিত্র এ স্থানে আসা অনেক মানুষের স্বপ্ন।’ তিনি বলেন, হজ পালনের পর ‘আমরা যখন এই পবিত্র স্থান ছেড়ে চলে যাই তখন নিজেদের আরো ধার্মিক মনে হয়।’ ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম দেশ। ফলে হজ পালনের জন্য এ দেশ থেকে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মুসলিম মক্কায় এসেছেন। উল্লেখ্য, হজ হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের একটি। আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে এমন প্রত্যেক মুসলিমের জীবনে কমপক্ষে একবার হজ পালন করা অবশ্য কর্তব্য।
৫ বছরে হজে ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে সউদীর আয়
এদিকে আরব নিউজ জানায়, হজ ও ওমরাহ থেকে সউদী আরবের রাজস্ব আয় ২০২২ সালের মধ্যে ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হজ ও ওমরাহ মৌসুমে সউদীতে পরিবহন, আবাসন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট এবং ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ আয় আসবে।
সউদী আরবের রিয়েল এস্টেট ও বিনিয়োগ কমটির সদস্য মুহসিন আল-শরিফ বলেন, প্রতিবছর হজ থেকে আসা রাজস্ব জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাহ হিসেবে কাজ করছে। এটি সউদী সরকার ঘোষিত ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এটি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে ও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। যেখানে শুধু মৌসুমী কর্মসংস্থান নয়, বরং স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন হজ ও ওমরাহ যাত্রী আনার বাস্তব পরিকল্পনার কথা জানান। যার মাধ্যমে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদীনার অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সুসংহত অর্থনৈতিক কাঠামোয় নিয়ে আসা হবে। হজযাত্রীদের মাধ্যমে সউদীতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশের সম্ভাবনাও তুলে ধরেন তিনি।
আগামী ৫ বছরেই বার্ষিক রাজস্ব আয় ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে ছোট একটি বিনিয়োগকারী গ্রুপ বিদেশি কর্মীদের শোষণ ও পুঁজি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত, যাতে এ থেকে আরও বেশি রাজস্ব উঠে আসে।
তিনি জানান, হজ ও ওমরাহ থেকে প্রাপ্ত ১৫০ বিলিয়ন অর্থ সরিয়ে না নিয়ে বিভিন্ন খাতে পুনঃবিনিয়োগ করা উচিত। এর ফলে শুধু হজ সংশ্লিষ্ট অন্তত ১০ হাজার চাকরির ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নীতি-নির্ধারকরা।
তিনি আরও জানান, বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মুনাফা প্রাপ্তির কারণে হজ ও ওমরাহ’র আর্থিক দিকটি হেলা করার সুযোগ নেই। এ আয় মক্কা ও মদীনাতেও বিস্তৃত হচ্ছে। এটা শুধু হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য নয়, বরং দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসনসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বর্ধিত করছে যা দেশটির শিল্প-বাণিজ্যের দুই তৃতীয়াংশের বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।