নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : কয়েক সপ্তাহ ধরেই বক্সিং ও ইউএফসি জগত ছিল উত্তপ্ত। থাকবে না-ই বা কেন, বক্সিং রিংয়ে যে নামছেন সময়ের দুই সেরা কিংবদন্তি ফাইটার। একজনের নামের পাশে পেশাদার বক্সিংয় জয়ের ক্যারিয়ার রেকর্ড ৪৯-০! আরেকজন মিক্সড মার্শাল আর্টের আল্টিমেট ফাইটিংয়ের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সকালে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের টি-মোবাইল অ্যারেনা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল সেই লড়াই।
লড়াইয়ে আইরিশ মিক্সড মার্শাল আর্ট খেলোয়াড় কনর ম্যাকগ্রেগরকে দশম রাউন্ডে ট্যাকনিক্যাল নকআউট করে ক্যারিয়ারের ৫০তম লড়াইটাও জিতে নিয়েছেন ফ্লয়েড মেওয়াদার। ফলে মেওয়াদারের ক্যারিয়ার রেকর্ড এখন ৫০-০! অবিশ্বাস্য!
আর এজন্য মেওয়েদার কত পাচ্ছেন জানেন? ২০০ মিলিয়ন ডলার! মাত্র এক ম্যাচ খেলেই। তবে সার্বিক হিসাবে অঙ্কটা দাঁড়াবে প্রায় এর তিনগুন! কিছুদিন আগে এক শোতে মেওয়েদার নিজেই এমনটা দাবি করেছিলেন। বাংলাদেশি টাকায় যা ৪ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা! অথচ ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪ জয়ী জার্মানি দল প্রাইজমানি পেয়েছিল ৩৫ মিলিয়ন ডলার।
অথচ এই মেওয়েদারই কিনা দুই বছর আগে বক্সিং রিং থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। ম্যানি প্যাকিয়াওকে হারিয়ে ৪৯তম জয় নিয়ে অবসরে গিয়েছিলেন মেওয়েদার। সেবার ম্যাচ জয়ের পর বিছানায় ডলার বিছিয়ে শুয়ে থাকার একটা ছবি প্রকাশ করেছিলেন মেওয়েদার। একসময়ের রাস্তার ছেলেকে এই বক্সিংই এনে দিয়েছে অঢেল অর্থ এনে দেয়। অর্থ ব্যয়ের ব্যাপারে তার জুড়ি মেলাও ভার। ম্যাকগ্রেগরের গল্পটাও তেমনি। পানির মিস্ত্রি থেকে মার্শাল আর্ট আল্টিমেট তাকে অর্থ, খ্যাতি সব দিয়েছে। ম্যাচটি হেরে গেলেও ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছেন ম্যাকগ্রেগরও।
এবারের ম্যাচটি তাই আগের যে কোন ম্যাচের চেয়ে বেশি উন্মদনা তৈরী করেছিল। সেটা এতটাই বেশি যে গুগলে ‘ হোয়েন (যিবহ) লিখে সার্চ দিলে প্রথমেই দেখাতো মেওয়েদার-ম্যাগগ্রেগরের ফাইট কখন হবে! মাত্র ২০ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামের টিকিট বেচেই ৭০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে আয়োজকেরা। টিভিতে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সরাসরি দেখেছে ম্যাচটি। আর এমন ম্যাচকে ঘিরে বাজির হিসাবটা তো আড়ালেই রয়ে গেল। মেওয়েদারের পকেটে তাই ৬০০ মিলিয়ন ডলার প্রবেশ অবিশ্বাস্য নয়! ‘মানি ম্যান’ নামে তাকে তো আর এ¤িœ এ¤িœ ডাকা হয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।