পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী গেজেট : সউদী আরব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দৃঢ় লড়াইয়ের প্রচেষ্টা ও ত্যাগ স্বীকারের প্রশংসা করে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল পাকিস্তানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান সউদী আরব ও দেশটির নেতৃত্বের প্রতি অব্যাহত ও দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। বুধবার জেদ্দায় সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীর মধ্যে বৈঠককালে দু’ নেতা তাদের এ পারস্পরিক অভিমত ও অবস্থান ব্যক্ত করেন।
১ আগস্ট নওয়াজ শরীফের বদলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর শহীদ খাকান আব্বাসীর এটাই প্রথম বিদেশ সফর। সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে তিনি জেদ্দায় এক বৈঠকে মিলিত হন। মোহাম্মদ বিন সালমান একই সাথে উপ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। পাকিস্তানি সূত্রগুলো জানায়, শহীদ খাকান আব্বাসীর এ সফরের মধ্য দিয়ে সউদী আরবের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্কের গুরুত্ব প্রকাশিত হয়েছে।
সউদী প্রেস এজেন্সি জানায়, বৈঠক কালে দু’ নেতা সউদী আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন এবং সকল ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরো উন্নয়নের পন্থা জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা ইসলাম বিশ^ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বশেষ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন। নেতৃদ্বয় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বৈশি^ক বিষয় এবং মুসলিম উম্মাহ যে সব সমস্যার সম্মুখীন সে সব বিষয়ে মত বিনিময় করেন। তারা আঞ্চলিক ও অঞ্চলের বাইরে শান্তি , নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যে সংলাপ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সম্মত হন।
সউদী যুবরাজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও তার সঙ্গী প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানান। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দৃঢ় লড়াইয়ের প্রচেষ্টা ও ত্যাগ স্বীকারের প্রশংসা করেন। যুবরাজ আশা প্রকাশ করেন যে দু’দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। তিনি একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল পাকিস্তানের প্রতি সউদী আরবের গুরুত্ব আরোপের কথা উল্লেখ করেন। যুবরাজ আরো আশা প্রকাশ করেন যে পাকিস্তান সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
শহীদ খাকান আব্বাসী তার পক্ষ থেকে সউদী আরব ও সে দেশের নেতৃত্বের প্রতি পাকিস্তানের অব্যাহত ও দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি যুবরাজের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের, বিশেষ করে সউদী আরবের উন্নয়নে তার ভিশন ২০৩০-এর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের কল্যাণে অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থনের ব্যাপারে যুবরাজকে আশ^স্ত করেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের মূলোচ্ছেদ এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে দেশ হিসেবে পাকিস্তানের বিপুল আত্মত্যাগ ও অসাধারণ প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সউদী আরবের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে। তিনি সউদী আরবের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থনের পাকিস্তানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ বছর হজে পাকিস্তানের হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
শহীদ খাকান আব্বাসী ও সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে বৈঠকের সময় সউদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সউদ বিন নায়েফ, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ড. মুসায়েদ আল-আয়বান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের, রাজ দরবারের উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অফিসের সার্বিক তত্ত¦াবধায়ক ফাহদ আল ইসা, রাজ দরবারের উপদেষ্টা রাফাত আল সাবাগ, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ এবং বেশ কিছু কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহীদ খাকান আব্বাসী বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে মক্কার ডেপুটি আমির আবদুল্লাহ বিন বান্দার তাকে অভ্যর্থনা জানান। সউদী আরবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত খান হাশাম বিন সাদিক , পাকিস্তানে নিযুক্ত সউদী রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ আহমাদ আল মালিকি , পাকিস্তানের কনসাল জেনারেল শেহরিয়ার আকবর খানও জেদ্দার পাকিস্তান কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।