নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার: ২০০৬ সালের এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়া যখন টেস্ট খেলতে এসেছিল বাংলাদেশে, তামিম ইকবাল তখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে তাঁর চোখে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই সিরিজটা তিনি দেখেছিলেন চট্টগ্রামে, টিভিতে। দর্শক হিসেবে দেখা সেই সিরিজের কোন স্মৃতিটা বেশি মনে পড়ে তামিমের? ‘ফতুল্লা টেস্টে শাহরিয়ার নাফীসের সেঞ্চুরিটাই বেশি মনে পড়ে’- সংবাদ সম্মেলন শেষে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে বাঁহাতি ওপেনার খানিক সময়ের জন্য ফিরে যান ১১ বছর আগে। বৃষ্টির বাধায় গতকাল অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ। হোটেলে ফিরে যাওয়ার আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম। সহ-অধিনায়ক বলছিলেন স্টিভেন স্মিথদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে।
অতীত থেকে বর্তমানে ফিরে তামিম যখন তাকাচ্ছেন সামনে, অদূরে ২২ গজ তাঁকে হাতছানি দিচ্ছে নতুন কীর্তি গড়ার। গত তিন বছর ক্রিকেটের প্রতিটি সংস্করণে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। তবে এ বছর খেলা পাঁচ টেস্টে তিন ফিফটি পেলেও এখনো পাননি সেঞ্চুরির দেখা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সেঞ্চুরির খাতাটা খুলতে পারবেন তামিম?
সেঞ্চুরি পাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে এই টেস্ট দিয়ে সাকিব আল হাসানের মতো তামিমও পূর্ণ করতে যাচ্ছেন একটা ‘ফিফটি’। ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলার আগে অবশ্য বাড়তি কোনো রোমাঞ্চ নেই তাঁর, ‘একটা বিশেষ উপলক্ষ এটা। আমার বা দলের পারফরম্যান্স দিয়ে এটাকে আরও বিশেষ করা যায় কি না, সেই লক্ষ্যে নামব। যখন টেস্ট ক্রিকেট শুরু করি বা আমার অভিষেক হয়, তখন মাথায় ছিল, যতটা লম্বা সময় বাংলাদেশের হয়ে খেলা যায়। তবে একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমরা যেভাবে টেস্ট খেলছি, তাতে ৫০টা খেলতে পারব কি না সন্দেহ আছে! এখন আমাদের অনেক ম্যাচ বেড়েছে। টেস্ট বেশি খেলছি আগের তুলনায়।’
বাংলাদেশ দলের কোচ বলেছেন অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারাতে চান তাঁরা। আগের দিন সাকিবও বলেছেন একই কথা। তবে তামিমের কথা কিছুটা ভিন্ন, ‘২-০ করতে হলে আগে ছোট ছোট বিষয়গুলো ঠিকভাবে করতে হবে। ২-০ বলে দেব আর হয়ে যাবে, তা নয়। প্রতিটি সেশন, প্রতিটি বল আপনাকে লড়াই করতে হবে। মাঠে সবকিছু বাস্তবায়ন করতে হবে। যে দল মাঠে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে, তাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি। তবে ২৭ তারিখ যখন নামব, জেতার জন্যই নামব।’
সেটা করতে হলে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন ড্যাশিং এই ওপেনার। বাংলাদেশের বোলারদের পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের সামর্থ্যে আস্থা রেখে নিজেদের খুব ভালো সম্ভাবনা দেখেন তামিম, ‘মিরাজ, মুস্তাফিজ দুই জনই খুব ভালো বোলার। ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের যদি এগিয়ে থাকতে হয় তাহলে তাদের খুব ভালো বল করতে হবে। বিশেষ করে সাকিব, মুস্তাফিজ, মিরাজের। ওরাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলার। ওরা যদি ভালো পারফরম করতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা এগিয়ে থাকতে পারবো।’
শুধু বোলারদের ভালো করলেই হবে না, ব্যাটসম্যানদেরও খেলতে হবে নিজেদের সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে। তামিম মনে করেন, ম্যাচ জিততে হলে আগে জিততে হবে ধৈর্যের পরীক্ষায়, ‘আমরা দল হিসেবে চেষ্টা করবো যেন দুটি টেস্টই জিতি। ২৭ তারিখ যখন মাঠে নামবো, আমরা চিন্তাই করবো যে জেতার জন্য নামছি। তবে সবারই মনে রাখা উচিত, ৫ দিনের খেলা ১ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় না। পাঁচ দিনের ম্যাচ পাঁচ দিনই খেলতে হয়। প্রতিটি মিনিট করে খেলে গিয়ে একটা ফল আসে।’
প্রথম বল থেকে সেই ধৈর্য দেখাতে প্রস্তুত তামিম। আক্রমণাত্মক বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, পুরো দলও খেলবে সেভাবেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।