মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন আফগান কৌশল ঘোষণা করে বলেছেন, দেশটিতে আরও সেনা পাঠাবেন। যদিও ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় আরও চরম ও পুরোপুরি প্রত্যাহার দাবি করলেও এখন বলছেন ভিন্ন কথা। বরং পূর্ণ প্রত্যাহার বাতিল করেছেন। তাই তার চূড়ান্ত লক্ষ্য দ্ব্যর্থবোধক মনে হচ্ছে। ট্রাম্পের আফগানিস্তান কৌশলে কিছু বাস্তবসম্মত অংশও রয়েছে। ট্রাম্পের বক্তৃতার পরপরই তালেবান জবাবে বলেছে, আফগানিস্তান হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সমাধিক্ষেত্র। ফলে সংঘাত আগে যেখানে ছিল, সেখানেই থেকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, সেটা আগে নির্ধারণ করতে হবে। নাইন-ইলেভেন হামলার প্রতিশোধ নিতে এবং তালেবান সরকারকে উৎখাত করতে দেশটি আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, যতটা মনে করা হচ্ছিল, তালেবান এর চেয়েও অনেক বেশি প্রতিরোধক্ষম। এখন প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র কি আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত থাকতে চায়, নাকি মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারে নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়? যুক্তরাষ্ট্র কি আফগানিস্তানকে মধ্য এশিয়ায় প্রাধান্য বিস্তারের ভৌগোলিক পশ্চাদভূমিতে পরিণত করবে, নাকি সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের সঙ্গে কাজ করার জন্য ব্যবহার করবে? তালেবানকে নিশ্চিহ্ন করতে যুক্তরাষ্ট্র অক্ষম এবং আফগানিস্তান থেকেও তারা পুরোপুরি নিজেদের প্রত্যাহার করছে না। পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার সময়ও পরস্পরবিরোধী ভূমিকা পালন করছে, চীনকেও তারা পুরোপুরি বিশ্বাস করে না। ট্রাম্পের মনে নতুন কোনো আইডিয়া না থাকায় তিনি আসলে সেখানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চাইছেন। ওবামা ও জর্জ ডাবিøউ বুশের গ্রহণ করা নীতির মাঝামাঝি অবস্থানে থাকতে চাইছেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জটিল। তাই যুদ্ধ শেষ করার বিশাল চ্যালেঞ্জটি ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন শক্তিকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেটার ওপর। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন, চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা। আফগানিস্তান ইস্যুতে অনেক ব্যাপারেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একই অবস্থানে রয়েছে। উভয় দেশই চায়, দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। বস্তত দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা স¤প্রসারণে আফগানিস্তান হতে পারে সেতুবন্ধন। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নিয়ে চীনের উদ্বেগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গঠনমূলক সাড়া দেয়া। এ ছাড়া চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সমর্থন দেয়া। পাকিস্তানের স্বার্থ এবং জটিলতাগুলোর প্রতিও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রদ্ধা প্রকাশ এবং এগুলো বিবেচনায় আনা উচিত। সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতে পাকিস্তানের ওপর কঠোরতা আরোপ করা উচিত হবে না যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। দেশটি যদি পাকিস্তানকে ত্যাগ করে এবং বিশেষ করে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে ভারতের দিকে মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকে পড়ে, তবে সেটা হবে অজ্ঞতাপ্রসূত কাজ। গেøাবাল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।