হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক শংকার সৃষ্টি হয়েছে। মধ্য, উত্তর-মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ২৫টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে যে, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় একশ’ বছরের মধ্যে, তিস্তা অববাহিকায় ৯৮ বছরের মধ্যে ও গঙ্গা অববাহিকায় ৭৫ বছরের মধ্যে পানি সর্বোচ্চ বেড়েছে। এর মধ্যে শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। এবং যা হয়, বন্যাপ্লাবিত এলাকার মানুষ এখন ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে বন্যাদুর্গতরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের নানা ক্ষেত্র বাংলাদেশ। শত শত বছর ধরে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, ঝড়, বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরা, বজ্রপাত এদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত করে চলেছে। কখনো কখনো তার ভার বড় বেশি হয়ে যায়। যেমন ১৯৭০-এর নভেম্বর, ১৯৮৫-র মে, ১৯৯১-এর এপ্রিল, ২০০৭ সালের নভেম্বর, ২০০৯ সালের মে এবং ২০১৬ সালের মে-তে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এগুলোর মধ্যে ’৭০-এর ১২ নভেম্বরের ক্ষতি ছিল সর্বাপেক্ষা বেশি। স্মরণকালের ইতিহাসে তা মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি হয়ে আছে। সরকারি হিসেবে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এ সময় মারা যায়। আর ১৯৯১ সালে নিহত হয় দেড়লাখেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে বন্যাও আমাদের প্রায় ফি বছরের সঙ্গী। পুরনো এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি সাত বছরে একবার ব্যাপক বন্যা ও প্রতি ৩৩ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একবার মহাবন্যা দেখা দিতে পারে।
সাম্প্রতিক অতীতে ১৯৮৮ সালে দেশে মহাবন্যা সংঘটিত হয়। এ সময় দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা বন্যা কবলিত হয়। এ সময় ঢাকা মহানগরীর বহু এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া ২০০৭ সালের বন্যাকেও মহাবন্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ সময় দেশের ৪২ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। এ দু’টি বন্যা ছাড়াও ব্যাপক এলাকা ভিত্তিক বন্যা সংঘটিত হয় এবং তাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কথা জানা যায়।
পানি জীবনের উৎস। পানি বিহীন এলাকা মরুভূমি, প্রাণহীন, সবুজবর্জিত। পানির প্রাচুর্যের কারণেই বাংলাদেশ এত সবুজ-শ্যামল। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী আষাঢ় থেকে আশি^ন মাস পর্যন্ত অর্থাৎ বর্ষা ও শরৎ ঋতুতে বাংলাদেশে পানির প্রাচুর্য থাকে। বছরের বাকি সময়েও কম-বেশি পানি থাকে, কিন্তু এ দু’টি ঋতুর মত প্রাচুর্য থাকে না। অবশ্য অতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে চলেছে। বাংলাদেশে পানির এই সহজলভ্যতা যেমন আশীর্বাদ তেমনি তার অতিপ্রাচুর্য অর্থাৎ বন্যা আবার অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়। বাংলাদেশে বন্যার একমাত্র কারণ উজান থেকে নেমে আসা পানি। আমাদের প্রধান নদ-নদীগুলোর উৎস ভারত। এসব নদীর কয়েকটির উৎপত্তি আবার নেপাল ও ভুটান। শুধু যমুনা বা ব্রহ্মপুত্রের উৎস চীন। সুতরাং এ সব দেশে কোনো বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে তার প্রভাব প্রথমে ভারত, তারপর বাংলাদেশে পড়ে। বাংলাদেশের মতো উল্লেখিত দেশগুলোতেও এবার প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচল ও সিকিম রাজ্যে প্রচন্ড বন্যা দেখা দিয়েছে নেপালেও বন্যা আঘাত হেনেছে। উভয় দেশে এখন পর্যন্ত কয়েকশ’ লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ওই দু’দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণা কেন্দ্র ১০ আগস্ট তাদের বৈশি^ক বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত পূর্বাভাসে এ অঞ্চল প্রসঙ্গে বলেছে যে বাংলাদেশ, চীন, ভুটান ও নেপালের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোতে পানি বাড়ছে এবং সে পানি ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ভাটির দিকে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, গত ২শ’ বছরেরও বেশি সময়ে ব্রহ্মপুত্রের উজানে বন্যার মাত্রা ভয়াবহ হতে পারে। আবার দি ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টস-এর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দিন কয়েকের মধ্যে হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ২শ’ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে পানি বাড়বে। এদিকে বাংলাদেশের একজন বন্যা বিশেষজ্ঞও অনুরূপ মত প্রকাশ করে বলেছেন, পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ’৮৮-র চেয়েও বড় ও ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। তবে আশাবাদ শুনিয়েছেন আমাদের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
মানুষ মাত্রেই অবসরে স্মৃতি রোমন্থন করে। এবারের বন্যার খবরে আমারও স্মৃতির দরজায় টোকা পড়ল। বন্যা যে কি ভয়াবহ, বন্যা দুর্গতদের যে কি দুঃসহ ভোগান্তি, তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে। আমার এ সামান্য জীবনে তিনটি মহাবন্যা দেখার অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। প্রথম অভিজ্ঞতা লাভ করি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরে। আমরা পদ্মাতীরের মানুষ। প্রতি বছরই দেখতাম, শ্রাবণ-ভাদ্র দু’মাসে পদ্মার পানি তীর উপচে খাল, জোলা, মাঠ ভাসিয়ে, পথ-ঘাট ডুবিয়ে দিত। গ্রামে বেশির ভাগই পায়ে চলা পথ ছিল। সেগুলো পানির নিচে চলে গিয়ে গোড়ালি বা হাঁটু পানি হতো। সে পানির মধ্য দিয়েই চলাচল করত গ্রামের মানুষ। আমিও হাঁটু পানি ভেঙ্গে স্কুলে-পোস্ট অফিসে-হাটে গেছি। কিন্তু ’৭১-এ এমন বন্যা হলাে যে বিস্তীর্ণ এলাকার বসত বাড়িগুলোর বেশির ভাগই প্লাবিত হয়ে গেল। কোথাও মাটি চোখে পড়ে না। সর্বত্র শুধু ঘর-বাড়ি আর গাছপালা জেগে রইল পানির উপর। ছবির মতো দৃশ্য। বহু বাড়িতেই কিছু রান্না করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াল। যাদের ঘরে ধান ছিল তা সিদ্ধ করে শুকিয়ে ঢেঁকিতে ভানা ছিল অসম্ভব। খাবার পানিরও ছিল প্রচন্ড সংকট। তখন গ্রামে নলকূপের সংখ্যা ছিল খুব কম। যা ছিল তারও অনেকগুলোর মুখ পানিতে ডুবে গিয়েছিল। লোকে হাঁটু, কোমর বা বুক পানি পেরিয়ে অনেক দূর থেকে খাবার পানি নিয়ে আসত। অনেক জায়গায় সাপ্তাহিক হাটও বন্ধ হয়ে গেল। মৃতদের লাশ দাফনের শুকনো জায়গা না পেয়ে লাশ ভাসিয়ে দেয়া হতে থাকল। দরিদ্র মানুষদের কাজ নেই, বিক্রি করার মতো সম্পদও নেই, নেই কোনো রিলিফও (তখন ত্রাণ শব্দটি চালু হয়নি)। তাদের যে কি দুরবস্থা। মানুষের মধ্যে কি যে হাহাকার! চারদিকে যুদ্ধ চলছে। তাই যারা একটু অবস্থাপন্ন তারা যে অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নেবে সে উপায়ও নেই। বয়স্করা বললেন, এত বড় বন্যা তারা আগে দেখেননি। অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে রিলিফ হিসেবে কয়েক সের করে গম দেয়া হল, যা একালের মত তখনো প্রয়োজনের তুলনায় ছিল অপ্রতুল। মানুষজন প্রায় একমাসের মতো ভীষণ দুর্ভোগ পোহানোর পর বন্যার পানি কমতে শুরু করে। মনে আছে, সেবার পদ্মা তীরবর্তী কুষ্টিয়ার পূর্বাঞ্চল, পাবনা জেলার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল, ফরিদপুর জেলার পশ্চিম উত্তরাঞ্চলসহ বিশাল এলাকা ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়। তারপর আবারো বন্যা হয় ১৯৭৪ সালে। তবে সেবারে আগের বারের চেয়ে ভয়াবহতা কিছুটা কম ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে রিলিফ হিসেবে দু’সের মতো বিদেশী ছাতু ও অল্প কিছু হতদরিদ্রকে সমান্য পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়। তারপর আমাদের অঞ্চলে আর বন্যা হয়নি। বহু বছর পর পুনরায় মারাত্মক বন্যার অভিজ্ঞতা লাভ করি ঢাকায়। উত্তর শাহজাহানপুরে ঝিলের উপর নির্মিত এক বাড়ির নিচতলায় ভাড়া ছিলাম। ঢাকায় যে এ রকম বন্যা হবে বা হতে পারে তা কারো ধারণায় ছিল না। হঠাৎ বন্যার পানি বাড়তে থাকল। অচিরেই ঘরের মধ্যে হাঁটু পরিমাণেরও বেশি হয়ে গেল পানি। বিছানা ছোঁয় অবস্থা। খাটের চারটি পায়ার নিচে দু’টি করে ইট দিয়ে উঁচু করে নিয়েছিলাম। এ বন্যার কয়েকদিন আগেই স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে যশোরে বেড়াতে গিয়েছিল বলে অনেক ঝামেলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। ঠিক মনে নেই, বোধ হয় দিন পনেরো পানিবন্দী ছিলাম। একটি কথা, সেবারই প্রথম দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত নৌকা চলেছিল। ঢাকার বহু মানুষই সে দৃশ্য দেখে মজা পেয়েছেন।
বন্যা কবলিত এলাকায় কী হয়? ২০২১ সালে যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে বলে সুন্দর আশাবাদের কথা শোনা যাচ্ছে যারা তা শোনান আর যারা শোনেন সেই সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু আর্থিক অবস্থার ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। এ দেশের মানুষের এক উল্লেখযোগ্য অংশ যে হতদরিদ্র, সে দরিদ্র মানুষদের জীবন ধারণ করা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই কঠিন, তাদের চোখের সামনে তেমন আশার আলো জ¦লে না, তাদের জীবন কাটে জীর্ণ ঘরে, তাদের সন্তানরা এখনো অবাধে স্কুলে যেতে পারে না, তাদের অনেকের মেয়ে একটি যোগসূত্র ধরে ঢাকায় এসে গার্মেন্টসের কাজে ঢুকে মা-বাবার মুখে একটু হাসি ফোটাতে জীবনপাত করে, সেই মানুষগুলো এই বন্যা দুর্গত মানুষদেরই অংশ। দেশের যে সব অংশ বন্যা কবলিত হয়েছে, যে সব অংশের মানুষ দুর্গত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, যাদের এক মুঠো খাবারের ব্যবস্থা নেই, যাদের চাল কেনার সামর্থ্য নেই, যাদের অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেইÑ যাদের দুর্দশা-দুর্ভোগের শেষ নেইÑ এই ডিজিটাল যুগে তাদের খুঁজে বের করে সরকারের উচিত প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের দুর্দশার অবসান করার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। বরাবর যা হয়, সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ কাজটি করতে যায়। তাতে দু’টি কাজ হয়। এক. সাধারণত সরকার বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রীর বেশির ভাগই তাদের নির্বাচনী ব্যয়ের খরচ তুলতে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়। দুই. মনে হয় যেন সরকার চোখ-কান বন্ধ করে দলের লোকদের এভাবে কিছুটা আয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। যা হয় না তা হচ্ছে, দুর্গতরা তাদের জন্য দেয়া ত্রাণ সামগ্রী ঠিকমত পায় না। সরকার যদি বিপন্ন মানুষের জন্য প্রদেয় ত্রাণ সামগ্রীর শতভাগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারে তাহলে একটি ভালো কাজ করবে।
বন্যা দুর্গত এলাকার লোকজনের অবস্থা কী? তার একটু আভাস মেলে কিছু খবর থেকে। কদিন আগে একটি চ্যানেলের খবরে বলা হয়, রংপুরের গঙ্গাচড়া এলাকায় বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। অন্যদিকে এদিন একটি সংবাদপত্রে মমেনা বেগমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জামালপুরের বন্যাদুর্গত এলাকার মমেনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই দিন হলো পাকশাক নাই। গেদা-গেদি নিয়ে কেমনে চলব! কয়েকটা টাকার চিড়া-মুড়ি নিয়ে কি চলে। এত বড় বন্যা কেউ খুঁজ লয়ল না।’ হায় সংশ্লিষ্ট এলাকার নানাস্তরের জনপ্রতিনিধিগণ, জেলা প্রশাসক-ইউএনওসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসন। উন্নয়নের জোয়ারে যে দেশ ভেসে চলেছে, যে দেশে মন্ত্রীরা বলেন, কেউ না খেয়ে থাকে না, ভিক্ষা নেয়ার মত মানুষ তারা খুঁজে পান নাÑ সে দেশে এ রকম কত মমেনা বেগম চোখে আঁধার দেখছেন, ক্ষুধার দুঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করছেনÑ সে খবর কে রাখে!
এই যেখানে বাস্তবতা সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ত্রাণ সামগ্রীর শতভাগ বন্যা দুর্গতদের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করা জরুরি। দলীয় নেতাদের বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বেশিরভাগকে দিয়ে কোনো ক্রমেই এ কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে একমাত্র নির্ভরযোগ্য পথ হচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে এ দায়িত্ব দেয়া। এ ক্ষেত্রে সরকার দলীয় নেতা ও আমলাদের কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থের কারণে নানা যুক্তি দিয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনীর উপর সরকার ও জনগণের উভয়েরই সমান আস্থা আছে। আর এ জরুরি সময়ে সে আস্থার ভিত্তিতে সরকার বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করে ভালো কাজ করেছে। তবে তাদের দিয়ে শুধু বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারই নয়, তাদের মাধ্যমে সমগ্র ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হলে দুর্গতরা সত্যিই উপকৃত হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।