হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
ভারতের কাছে নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাওয়া ছাড়া আমাদের খুব বেশি চাওয়া-পাওয়ার না থাকলেও আমাদের কাছে ভারতের অনেক চাওয়া এবং পাওয়া। ইতোমধ্যে ভারত নানাভাবে আমাদের কাছ থেকে তার প্রায় সব চাওয়াই আদায় করে নিয়েছে। আমরাও অকাতরে অত্যন্ত বিনয়ের মাধ্যমে তা দিয়ে দিয়েছি। বিনিময়ে আমাদের জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে থাকা পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু আদায় করতে পারিনি। এক তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত কতই না টালবাহানা করছে। দিব-দিচ্ছি এবং নানা ছলে চুক্তিটি ঝুলিয়ে রেখেছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা চাহিদা আমাদের পূরণ করতে হচ্ছে। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ভারতকে চাহিবামাত্র তার দাবী পূরণ করতে হবে। এর স্বপক্ষে আমাদের সরকারের মধ্যে এমন প্রবণতা বিদ্যমান যে, ভারত বন্ধুরাষ্ট্র, বন্ধুত্বের নির্দশন স্বরূপ তার চাহিদা পূরণ করা উচিত। তবে ভারত আমাদের কী চোখে দেখে, এ বিষয়টি আমরা একবারও ভাবছি বলে মনে হয় না। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতাসহ অন্য নেতারা যে বছরের পর বছর ধরে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর ও হুমকিমূলক কথা বলে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ দূরে থাক, টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করা হচ্ছে না। সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সাবেক নেতা তোগাড়িয়া বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচিত বাংলাদেশের একাংশ দখল করে নিয়ে সেখানে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ থাকার বন্দোবস্ত করা। গৌহাটিতে এক সভায় তোগাড়িয়া এ কথা বলেন। তিনি ভিএইচপির একাংশ ভেঙে আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ (এএইচপি) গঠন করেছেন। সভায় তিনি দাবী করেন, সেখানে প্রায় ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসী থাকলেও গত দুই বছরে মাত্র ১৭ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এদের ফেরত নিতে অস্বীকার করলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচিত বাংলাদেশের ভূমি দখল করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া। বিভিন্ন সময়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতা থেকে শুরু করে দেশটির সেনাপ্রধানও বাংলাদেশের বিপক্ষে যায় এমন কথা বলেছেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক কোটি বাংলাদেশীকে বিতাড়ন করা হবে। এ বছরের ২১ ফেব্রæয়ারি ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবেই পাকিস্তান উত্তর-পূর্ব ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে মদদ দিচ্ছে। আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতকে পাকিস্তান দখলে নিতে চায়। তাই বাংলাদেশ থেকে মুসলমানদের নিয়ে আসামের জেলাগুলো ভরে দিচ্ছে।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বক্তব্য যে বাংলাদেশকে দোষারোপ করা এবং প্রকারন্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, তা ব্যাখ্য করে বলার অবকাশ নেই। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ তোগাড়িয়া বক্তব্য দিলেন। দুঃখের বিষয়, এসব বক্তব্যের কোনো ধরনের প্রতিবাদ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা হয়নি। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভারতের সাথে এমনই বন্ধুত্ব যে তার কথার প্রতিবাদ করা যেন লজ্জার বিষয়। ভাবটা এমন, বন্ধুই তো বলেছে! সে তা বলতেই পারে! অথচ এটা ভাবছে না, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে অনেকটা ছেলেখেলা এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে।
দুই.
২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছিলেন, বাংলাদেশ যেকোনো সমস্যা যেন দ্রæত ভারতকে জানায়। তার কথার অর্থ দাঁড়ায়, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা হলে সে দ্রæত এসে সমাধান করে দেবে। অর্থাৎ ভারত এতটাই সাহস দেখাচ্ছে যে, সে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দ্বিধা করে না বা করবেও না। আমরা এর নজির ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দেখেছি। সে সময় নির্বাচনের আগে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে এসে নির্বাচনে করে নির্লজ্জ ভাবে হস্তক্ষেপ করে যার ফলে একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়। যা হোক, অভিজিৎ মুখার্জির বক্তব্যে সে সময় সচেতন ব্যক্তিদের অনেকে তীর্যক ভাষায় সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘জানানোর কি আছে দাদা! আমাদের আগেতো আপনারাই জানেন আমাদের সমস্যা। আমরাতো সব খুলে বসে আছি, আপনাদের জেনে যাওয়ার জন্য। আপনাদের আর কিছু লাগবে কিনা বলেন, আমরা গিয়ে দিয়ে আসবো, আপনাকে কষ্ট করে আসতে হবে না। ঋন শোধ করতে করতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি।’ অনেকে মন্তব্য করেন ‘আমাদেরকে তো ঋণে ঋণে জর্জরিত করে ফেলেছেন দাদা ভাইরা। এই ঋণ শোধ করতে করতে আমরা শুকিয়ে যাচ্ছি।’ ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণ এবং তার প্রতি আমাদের সরকারের যে অতি বিনয়াবনত কৃতজ্ঞ আচরণ, তাতে দেশের সচেতন মহলে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। অনেকে কইতেও পারছেন না, সইতেও পারছেন না। বলতে গেলে রোষাণলে পড়ার আশঙ্কা তাদের মধ্যে কাজ করছে। কারণ, এটা সবাই জানেন ভারতের সমর্থনে বলীয়ান সরকারের ক্ষমতার বিরুদ্ধে কিছু বললে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমনকি সাথে সাথে অ্যাকশনও হতে পারে। এই আতঙ্কে অসংখ্য মানুষ বুক ফেটে গেলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে চায় না। তবে ইদানিং অনেকেই একটু-আধটু সাহস সঞ্চয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে সচেতন শ্রেণীর মানুষকে কথা বলতে দেখা যায়। তাদের সাথে অসংখ্য মানুষকে সহমতও পোষণ করেন। বলা যায়, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে প্রভুত্বমূলক আচরণ, তা সরকার কৃতজ্ঞচিত্তে মেনে নিলেও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মেনে নিতে পারছে না। এসব মানুষের মনের এই তীব্র যন্ত্রণা ধারণ ও প্রকাশ করার মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তি যেন বাংলাদেশে নেই। ভারত যে তার স্বার্থে বাংলাদেশকে যেমন খুশি তেমন আচরণ করছে এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সাথে এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় কিনাÑএ বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্দি করার কোনো অনুভূতি যেন আমাদের সরকারের নেই। সরকার ভারতের আধিপত্য, আগ্রাসন ও খবরদারির প্রতিবাদ না করায় ভারত যে দিন দিন তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে যাচ্ছে, তার ফলাফল যে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য কতটা হুমকি, তা বুঝতে হয়তো খুব বেশি সময় লাগবে না। যাদের একটু বোধবুদ্ধি রয়েছে, তার বুঝতে পারছেন, ভারতের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ না করার ফলে আমরা দিন দিন নিজস্ব নিরালম্ব হয়ে পড়ছি। আমরা দেখছি, সরকার ভারতের চাহিদার সবকিছু অবলীলায় বিলিয়ে দিয়েছে। ভারত যা চেয়েছে এবং যেভাবে চেয়েছে, তার সবই দিয়ে দিয়েছে। বিনিময়ে সরকার মাঝে মাঝে ভারতের কাছ থেকে পেয়েছে প্রশংসাসূচক কিছু বাণী। যেন পৃথিবীতে ভারতের কাছে এর চেয়ে ভাল সরকার আর নেই। সরকারও তার প্রশংসায় খুশিতে ভাসছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, জগতে যে দেয় তার চেয়ে উত্তম দ্বিতীয় আর কেউ হতে পারে না। আর দুর্বলের কাছে যদি সবলের কোনো স্বার্থ থাকে, তখন সে নানাভাবে ছলচাতুরি এবং মাথায় হাত বুলিয়ে তা আদায় করে নেয়। আদায় করার পর সবল তার স্বরূপে দুর্বলের সামনে দাঁড়ায়। তখন দুর্বলেরও কিছু করার থাকে না। দুর্বলের এই মহা ভুলের খেসারত তাকে সারাজীবন দিয়ে যেতে হয়। সবলের ধমকের নিচেই তাকে থাকতে হয়। আত্মমর্যাদা বলে কিছু থাকে না। সবল তাকে নিয়ে যেমন খুশি তেমন খেলায় মেতে উঠে। যা খুশি তা বলে। দুর্বলকে অনেকটা খেলার বস্তুতে পরিণত করে। বাংলাদেশের কাছে ভারতের চাওয়ার আর কিছু বাকি না থাকায় সে ঐ সবলের মতোই আচরণ করা শুরু করেছে। ভারত যেন বাংলাদেশের সাথে এই কাজটিই করছে। এখন তার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের মুখ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিমূলক কথাবার্তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। তাদের কথা-বার্তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তারা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছে। তাদের বক্তব্যে এমন মনোভাবই প্রকাশিত হয় যেন তাদের কথা মতো আমাদের চলা উচিত। আবার এটাও মনে হতে পারে সরকার কখনো কখনো একটু বেকায়দায় পড়লে তার কষ্ট যেন ভারত সরকারের গায়ে গিয়ে লাগে। দুঃখে সে হাহাকার করে উঠে। সরকারের পাশে দাঁড়ানোর একমাত্র দায়িত্ব যেন ভারতেরই এবং সে ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের সরকারের আর কেউ নেই। ভারতের আচরণ দেখে মনে হবে, তার উদ্বেগ কেবলমাত্র সরকারকে নিয়ে। বাংলাদেশের আলাদা সত্ত¡া ও এর সত্ত¡াধিকারী জনগণকে নিয়ে নয়। আমরা যে একটি আত্মমর্যাদাশীল ও স্বাধীন রাষ্ট্র, তার বক্তব্য-বিবৃতি ও আচার-আচরণে এর প্রতিফলন খুব কমই ঘটে। বলা বাহুল্য, ভারত আমাদের সাথে যে আচরণ করে চলেছে, তা অন্য কোনো আত্মমর্যাদাশীল দেশের সাথে করলে সহজে ছাড় পেতো কিনা। ঢাকা শহরের চেয়েও ছোট্ট দ্বীপদেশ মালদ্বীপ কয়েক মাস আগে তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন নাক না গলায়, এ ব্যাপারে সতর্ক করে ভারতকে যে ধমক দিয়েছে, তাতে ভারত চুপসে গিয়েছিল। অথচ ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলেন, তখন আমাদের সরকার নিশ্চুপ থাকে। এই নিশ্চুপ থাকা মানে তাদের কথা মেনে নেয়া। তবে সরকারের এই অবনত পররাষ্ট্রনীতি সব দেশের ক্ষেত্রে সমান নয়। অন্য কোনো দেশ কিছু বললেই তার রাষ্ট্রদূতকে কালবিলম্ব না করে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
তিন.
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ সরকার তো করছেই না, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও করছে না। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আগামী নির্বাচনে ভারতের সুদৃষ্টি সরকারসহ অন্য দলগুলোরও যেন প্রয়োজন। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরোক্ষভাবে বলেছেন, এ সরকার নিজে চলছে নাকি দেশের বাইরের কোনো শক্তি দ্বারা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার এ বক্তব্য যে পরোক্ষভাবে ভারতকেই বোঝানো হয়েছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। তবে দেশের মানুষ আশা করে, দেশের বৃহত্তম জাতীয়তাবাদী দলটির কাছ থেকে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হুমকিমূলক বক্তব্যের আরও জোরালো প্রতিবাদ প্রয়োজন। কারণ দলটিকে জনগণের পালস্ বুঝতে হবে। ভারতের আচরণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষুদ্ধতা বিদ্যমান। তাদের এই ক্ষুদ্ধতা প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম নেই। তারা নির্ভর করে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের ওপর, যারা তাদের হয়ে এর প্রতিবাদ করবে। দুঃখের বিষয়, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা একের পর এক বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য দিলেও সরকার তো নয়-ই প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকেও তেমন কোনো কার্যকর প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। তাদের বদ্ধমূল ধারণা, ভারত পাশে থাকলেই তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে হয়তো তারা ভারতের অন্যায্য আচরণের শক্ত প্রতিবাদ করেন না কিংবা করতে চান না। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।