পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দলীয় পোস্টার থেকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি তারেকের ছবি পাল্টে তার বদলে ন্যাপের সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ছবি সংযোজনের পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এই পরামর্শ দেন। ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় : অনাকাংখিত বিতর্ক ও বাংলাদেশর রাজনীতি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জএসডি)। আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বি চৌধুরী ও মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তৃতা করেন।
‘রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র থাকা উচিত নয়’ এমন মন্তব্য করে বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্র বিদায় করতে হবে। আমি বিএনপিকে পরামর্শ দেব একটা ছবি সরিয়ে ফেলতে। আমি তারেককে অত্যন্ত স্নেহ করি, তারেকের ছবিটা সরিয়ে নিয়ে সেখানে যেন ভাসানীর ছবি সংযুক্ত করে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে অন্ধকারের মধ্যে আলো হিসেবে বর্ণনা করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায়ে সাত জন বিবেকবান বিচারক কেন আলো জ্বালালেন। সত্য কথা বললে শাসক গোষ্ঠীর মাথা ঘুরে যায়। তারা সত্যটাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না।
এই রায়ের সমালোচনায় আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করেছেন। এর জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পর্যবেক্ষণ নিয়ে তারা যা বলছে, বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে কি বলতেন দেশ স্বাধীন একা করেছি? না, তিনি বলতেন সবাই মিলেই এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই সত্যটাই এস কে সিনহা সাহেব বলেছেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হলেই চলবে না। বিচারকদেরও স্বাধীন হতে হবে। প্রধান বিচারপতি সিনহা সাহেবসহ কেউ তাদের সম্পদের হিসাব দেন নাই। তাদের সম্পদের হিসাব দিলে তারা সে সাহসী, তারা আরও সাহসী হবে।
ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের সমালোচনা করে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না সেটা খতিয়ে দেখারও তাগিদ দিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্ন আদালতের বিচারকরা যেন ৫০% উচ্চ আদালতে আসতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে পারলে আরও ভালো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।