নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : সাব্বির রহমানের অভিষেক হয়েছিল গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজে। এরপর থেকেই দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। ইতোমধ্যে টেস্টেও নিজের পারফরম্যান্সের দ্যূতি ছড়িয়ে সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজেও ব্যাট হাতে দেখা যেতে পারে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। হোম সিরিজে ভালো করার জন্য নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত করছেন তিনি। দলের সঙ্গে চট্টগ্রামের সাতদিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে অংশ নিয়ে ব্যাটিংয়ের অনেক টেকনিক নিয়ে কাজ করলেও মারকুটে ব্যাটিংয়ের ধরণ পাল্টাবেন না বলে জানিয়েছেন সাব্বির। তামিমের দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ১ম ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ১০। বৃষ্টির কারণে আর সুযোগই হয়নি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে প্রস্তুতি কেমন হলো জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা যে জন্য এসেছিলাম, ব্যাটসম্যানরা ব্যাট করবে বোলাররা বল করবে, প্র্যাকটিস ম্যাচ। সব মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট প্রস্তুতির কাজ হয়েছে। এই কন্ডিশনে যেটা খেলার দরকার ছিল সেটা আমরা খেলে ফেলেছি।’
চট্টগ্রামের এই মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলেছিলেন সাব্বির। সেই ম্যাচে পরাজয়ের স্মৃতিটা এখনো ভোগায় সাব্বিরকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই খারাপ লাগে। প্রথম ম্যাচটা জিততে পারলে ভালো লাগতো। আমরা একদম শেষ পর্যন্ত গিয়েছিলাম। এখন অস্ট্রেলিয়ার সাথে দু’টি ম্যাচ ভালো করার চেষ্টা করবো। জেতার জন্য না। যাতে ভালো পারফর্ম করতে পারি। ভালো খেলতে পারলে আশা করি আমরাই জিতবো। আমরা চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেট খেলার।’ নিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে সাব্বির বলেন, ‘টেকনিক নিয়ে কাজ করছি। সেটা এখনো অ্যাপ্লাই করিনি। এটা যত তাড়াতাড়ি কাভার করতে পারবো ততই আমার নিজের জন্য মঙ্গল। চেষ্টা করছি কিভাবে ভালো রান করা যায়, ধৈর্য ধরে খেলা যায়। ব্যাটিং টেকনিক, ব্যাট লিফটিং, সামনে, পেছনে, থ্রো ডাউন করছি।’ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ মার্ক ও’নিলের কাছ থেকে কী শিখলেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাব্বির বলেন, ‘তেমন কোনো সাজেশন দেননি। আসলে ম্যাচ সামনে। নরমাল বিষয়গুলো যেমন ব্যাট লিফটিং সমস্যা, ব্যাটের গ্রিপ নিয়ে কাজ করছি। সামনে পেছনে কিভাবে খেলতে হবে, নতুন বল কিভাবে ফেস করতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে টেস্ট মেজাজে কিভাবে খেলতে হবে। কিভাবে লং ইনিংসগুলো খেলা যায়। এসব বেসিক জিনিসগুলো উনি শেখাচ্ছেন।’
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে সাব্বির বলেন, ‘তিন, চার, পাঁচ যেখানেই খেলানো হবে আমি খেলবো। আমার কোনো পার্সোনাল চয়েস নেই। টিম যেখানে খেলাবে সেখানেই খেলবো। টিম থেকে এধরনের কিছু বলা হয়নি। ৫ অথবা ৬ যেখানেই হোক খেলার জন্য আমি প্রস্তুত রয়েছি।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও অ্যাটাকিং ব্যাটিং করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাটাক সবসময় করা যাবে না। সিচুয়েশন অনুযায়ী অ্যাটাক করতে হবে। আমি যদি প্রথম বলেই অ্যাটাক করি তাহলেতো হবে না। আমাকে বুঝতে হবে উইকেটটা কেমন, বোলারটা কেমন, ওরা কি প্ল্যান করেছে আমাকে নিয়ে। সবকিছ্ ুআগে বুঝতে হবে। আমি যেহেতু অ্যাটাকিং ব্যাটসম্যান তাই অ্যাটাকিংই খেলবো যেভাবে খেলে আসছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।