বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
ব্রিটেনের বার্মিংহামে অবস্থিত বৃহৎ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেছেন- মাহে রবিউল আউয়াল মাসের চাইতে মুমিন মুসলমানদের কাছে খুশির আর কোন মাস নেই। এ মাসেই পৃথিবীতে তশরিফ এনেছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি মানব-দানব, বৃক্ষ তরু-লতা সকলের জন্যই রহমত ছিলেন। তার চাইতে বড় মানবতাবাদী পৃথিবীতে আর কেউ নেই। বর্তমান পৃথিবীতে আরাম আয়েশের সব কিছু মওজুদ থাকার পরও মানুষের মনে শান্তি নেই। একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস নেই। জীবনের নিরাপত্তা নেই। নবী মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ সময়ে আগমন করেছিলেন। সে সময় ‘মানুষ’ নামমাত্র পরিচয় নিয়ে থাকলেও মানবীয় কোন বৈশিষ্ঠ্যই তাদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল না। একটি বর্বর সমাজকে তিনি একত্ববাদের বিশ্বাস দিয়ে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। মানুষ ফিরে পেয়েছিল মানুষ নামের পরিচয়। পেয়েছিল অধিকার, সম্মান, সম্ভ্রম নিয়ে বাঁচার পূর্ণ নিরাপত্তা। পৃথিবীকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন তিনি। মদিনায় সাম্য, ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সকল ধর্মের মানুষের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর জীবনাদর্শ ও কর্মপন্থা অনুসরণ করলে পৃথিবীর সকল দেশ ও ধর্মের মানুষ নিরাপত্তা লাভ করবে।
গতকাল ১ নভেম্বর শুক্রবার ব্রিটেনের বার্মিংহামে অবস্থিত সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদে জুমার খুতবায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন।
এ সময় সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল আল্লামা শায়েখ সাইয়্যিদ ফাদি জুবা বলেন, রবিউল আউয়াল মাসের সবচেয়ে বড় আমল হল রাসূলের উপর বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পড়া। যতো পারা যায় রোজা রাখা। তার আগমনের দিনে শরীয়ত সম্মত পন্থায় খুশি উদযাপন করা। মিলাদ-কিয়াম করা, আনন্দ র্যালি ও তবারুক বিতরণ করা। তিনি হাদিস শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসূলের ঘাম মোবারকও মুমিনদের জন্য শিফা ছিল। তাঁর প্রস্রাব মোবারক পানকারীকেও জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।