পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের একটি মাদ্রাসায় হাফিজুর রহমান কাওছার (৯) নামের এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ মারকাযুল তারতীলিল কুরআন মাদ্রাসার তৃতীয়তলা থেকে শায়িত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মৃত কাওছার চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চিরকা চাঁদপুর গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তারা মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের ৪ নম্বর রোডের বি-বøকের একটি বাসায় তিন মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। মৃত কাওছারের বাবা দুলাল জানান, গত ১৫ দিন আগে কাওছারকে ঐ মাদ্রাসায় হেফজ খানায় ভর্তি করি। সে মাদ্রাসাতেই থাকতো। প্রতি বৃহস্পতিবার বাসায় আসতো এবং শনিবার সকালে চলে যেত। কাওছার মাঝে মাঝে বলতো হুজুর তাকে অনেক মারধর করে। সে হাঁটু বের করে মারার চিহ্নও দেখিয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় কাওছারের মা ফাতেমা বেগম মাদ্রাসায় ছেলের জন্য নাস্তা দিয়ে আসে, কিন্তু ছেলের সাথে দেখা না করেই চলে আসে। গতকাল সকাল ৮টায় আলামীন নামের হুজুরের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা জুনাইদ বিন ইসহাক এর কক্ষে কাওছারের মৃতদেহ দেখতে পায়। পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির জানায়, খবর পেয়ে সকালে মাদ্রাসা থেকে কাওছারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়র। তার মাথার ডান পাশে ছোট কাটা আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথার বিভিন্ন স্থানে ফুলা আছে। কাওছারের মৃত্যু রহস্যজনক। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছু বলা সম্ভব না। মাদ্রাসার পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।