পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আই বি টি ও মেইল অনলাইন : দোকলাম মালভূমির ঘটনা নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যকার মুখোমুখি অবস্থার একমাসেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। ভারত একাধিকবার বলেছে, যুদ্ধ এ সংকটের সমাধান নয়। অন্যদিকে চীন বারবার নয়া দিল্লীকে দোকলাম থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার অথবা এর পরিণতির সম্মুখীন হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে তার সংযমের একটা সীমা আছে। চীনা বিশেষøকরা বলছেন, ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে চীন তার ভূখন্ডে ভারতীয় সৈন্যদের অনুপ্রবেশ বেশিদিন সহ্য করবে না। এদিকে গত কয়েকদিনে চীন ঐ অঞ্চলে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ভারতে চীনের দূতাবাস এবং চীনের সরকারী ইংরেজি দৈনিক দি পিপলস ডেইলি বিভিন্ন সময়ে ভারতকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়ে বলেছে, ভারত তা না করলে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
সর্বশেষ চীনের সরকারী ইংরেজি দৈনিক গেøাবাল টাইমসে বলা হয়েছে, চীন দোকলাম সংকটকে দীর্ঘায়িত করতে দেবে না। তারা ঐ অঞ্চল থেকে ভারতীয় সৈন্যদের বিতাড়িত করতে দু’সপ্তাহের মধ্যে একটি ছোট সামরিক অভিযান চালাতে পারে।
সাংহাই সমাজ বিজ্ঞান একাডেমির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউটে গবেষণা ফেলো হু ঝিয়ং বলেন, ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে চীনের পক্ষ থেকে একের পর এক ভারতকে এ সংকেত প্রেরণ করেছে যে চীন তার ভূখন্ডে ভারতীয় সৈন্যদের অনুপ্রবেশ বেশিদিন সহ্য করবে না।
এদিকে জানা গেছে যে তিব্বত সামরিক অঞ্চল এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। ব্যাপক ভিত্তিক এ সামরিক মহড়ায় তাজা গোলাগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। চায়না সেন্ট্রাল টিভিতে (সিসিটিভি) এ সামরিক মহড়ার ফুটেজ প্রদর্শন করা হয়। চীনা বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের উপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ সামরিক মহড়ার ফুটেজ টিভিতে প্রদর্শন করা হয়েছে। সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে এশিয়া প্যাসিফিক স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ঝাও গানচেং মনে করেন যে চলমান সংকটের অবসান করতে চীন যে সামরিক পন্থা ব্যবহার করতে পারে এ হচ্ছে তারই ইঙ্গিত।
তিনি গেøাবাল টাইমসকে বলেন, ভারত এখন পর্যন্ত এক কথা বলা আর অন্য কাজ করার প্রেক্ষিতে এ রকম কিছু করার সম্ভাবনা বাড়ছে।
দোকলাম সংকট ও এ ব্যাপারে ভারতকে দেয়া চীনের আগের হুঁশিয়ারি বিষয়ে হু বলেন, এ ঘটনা ভারত সৃষ্টি করেছে এবং তাকেই এর ফল ভোগ করতে হবে। যেভাবেই এর অবসান হোক না কেন, চীন-ভারত সম্পর্ক মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কৌশলগত অবিশ^াস দীর্ঘায়িত হবে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুয়োকিয়াং বৃহস্পতিবার বলেন, ভারতীয় সৈন্যদের অনুপ্রবেশের প্রেক্ষিতে চীনা সশস্ত্র বাহিনী চরম সদিচ্ছা এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে। কিন্তু সংযমেরও একটা সীমা আছে।
গেøাবাল টাইমসের অন্য সম্পাদকীয়তে বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারকে দায়ী করা হয়। পত্রিকা বলে, মোদি সরকারের চীনের সামরিক শক্তির ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত এবং ভারতকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলা উচিত নয় যেখানে সীমান্ত এলাকায় সকল ভারতীয় সৈন্যকে নিশ্চিহ্ন করা ছাড়ার চীনের উপায় থাকবে না।
পত্রিকার নিবন্ধে বলা হয়, মোদি সরকারের কঠোর অবস্থানের পিছনে আইন বা শক্তি কোনোটিরই সমর্থন নেই। মোদি প্রশাসন বেপরোয়াভাবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করছে এবং ভারতের জাতীয় গৌরব ও শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন ব্যাহত করছে।
নিবন্ধে এও বলা হয় যে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় এলেই ভারত সরকার দায়িত্বহীন হয়ে পড়ে ও তার নাগরিকদের মঙ্গলের বিষয়টি ঝুঁকিতে ফেলে। মোদি সরকারের ভারতীয় জনগণের সাথে মিথ্যা বলা বন্ধ করা উচিত, কারণ ২০১৭ সালের ভারত ১৯৬২ সালের ভারতের চেয়ে আলাদা। চীন ও ভারতের মধ্যকার জাতীয় শক্তির ফারাক গত ৫০ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি। যদি মোদি সরকার যুদ্ধ শুরু করতে চায় , কমপক্ষে ভারতের জনগণকে তা বলা উচিত।
৪ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দোকলাম সংকট নিয়ে যুদ্ধের বিষয় বাতিল করে দেন। তিনি বলেন, দু’দেশ এ ব্যাপারে আলোচনা করছে। এদিন তিনি রাজ্যসভায় বলেন, আমরা শুধু দোকলাম নিয়েই আলোচনা করছি না, গোটা দি¦পক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা করছি। এ থেকে একটি সমাধান বের হয়ে আসবে। অর্থনৈতিক শক্তির কথা এলে বলতে হয়, প্রধান দাতা দেশ ও অর্থনৈতিক অংশীদারদের মধ্যে চীন শীর্ষস্থানীয় দেশ। সে কারণেই দোকলাম কোনো একক বিষয় নয়। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে সংলাপে বসি তখন অবশ্যই একটি সমাধান আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।