নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মো. আলতাফ হোসেন : সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সবারই নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম খুবই জরুরী। আর নিয়মিত ও পরিমিত খেলাধুলা মানুষকে সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলে। পাশাপাশি মানসিকভাবে জীবনযুদ্ধে জয় পরাজয়গুলোকে মেনে নিতে শেখায়। সভ্যতার শুরুর কিছুকাল পর থেকেই খেলাধুলার উদ্ভব হয় এবং তা ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে। অন্যান্য খেলাধুলার ন্যায় মার্শাল আর্ট বা কারাতেও একটি জনপ্রিয় খেলা। সুস্থ থাকা ও ওজন কমানোর উপায় হিসেবে মার্শাল আর্ট ও কুংফু কারাতে খুব জনপ্রিয় ব্যায়াম। নিজের নিরাপত্তা আত্মরক্ষা ও শরীর ঠিক রাখা, এক ঢিলে তিন পাখি মারতে চাইলে শিখতে পারেন কারাতে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মজীবি অনেক নারী-পুরুষ শিখছেন কারাতে, রপ্ত করছেন আত্মরক্ষার নানা কৌশল। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কারাতে প্রশিক্ষণের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। কোনো কোনো স্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে পার্ক বা খেলার মাঠেও নিয়মিত শেখার সুযোগ আছে কারাতে, জুডো ও কুংফু। জুডো শিখতে পুরো ম্যাঠ, আর কারাতে শিখতে সুপরিসর জায়গার প্রয়োজন হয় বলে বাসা-বাড়িতে প্রশিক্ষণ নেয়া যায় না। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ‘আত্মরক্ষায় কারাতে’ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের গত পর্বে ছিলো আচমকা অর্থাৎ বøকের পঞ্চম ব্যবহার ‘নয়াসিং’। আজ ১৭তম পর্বে থাকছে কু-কু’র ব্যবহার। কু-কু’তে দশটি ইভেন্ট রয়েছে। যার প্রথমটি ‘তাই কুকু’ নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
তাই কুকু...
‘তাই কুকু’ অনুশীলনের পূর্বে অন্যান্য দিনের মতো কিছু ওয়ার্মআপ ও ব্যায়াম করে নিলো ভালো হয়। যেহেতু মার্শাল আর্ট বা কারাত দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ তাই ওয়ার্মআপ করে না নিলে শরীর নমনীয় হবে না। আর শরীর নমনীয় না হলে প্রশিক্ষণে ইনজুরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই কিছুক্ষণ ওয়ার্মআপ করে তারপর প্রশিক্ষণ শুরু করা যেতে পারে। আগের মতোই সালাম বা বো করে কিবাডাসী পজিশনে থাকতে হবে। এরপর হোইস শব্দের মাধ্যমে কিবাডাসী থেকে ডান পা চলে যাবে পেছনে এবং বাম পা হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে, সেই সঙ্গে বাম হাত হাটুর ওপরে বøক অবস্থায় থাকবে। এই অবস্থা থেকে হোইস শব্দের মাধ্যমে তিন স্টেপে যেতে হবে। প্রথমে ডান হাতে সিঙ্গেল পাঞ্জ বা সোডনসখী করতে হবে । বাম হাত চলে যাবে বাম কোমড়ে দ্বিতীয়বার এক স্টেপ সামনে বাম হাতে সোডনসখী মারতে হবে, ডান হাত চলে যাবে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় কোমড়ে। তৃতীয়বার ডান হাতে সোডনসখী মারতে হবে, বাম হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় কোমড়ে চলে যাবে। প্রতিটি স্টেপেই হোইস শব্দের মাধ্যমে করতে হবে। এবার ডান হাত সামনে, বাম হাত কোমড়ে এবং ডান হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে এবং বাম পা সোজা ডান পায়ের বরাবর থাকবে। এরপর বাম দিকে ঘুরে বাম হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে এবং বাম হাত বøক অবস্থায় অর্থাৎ একটু বাঁকা অবস্থায় থাকবে। আর ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় ডান কোমড়ে থাকবে। এরপর এক স্টেপ সামনে ডান হাতে সোডনসখী মারতে হবে এবং বাম হাত চলে যাবে বাম কোমড়ে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায়। পরবর্তীতে ডান দিকে ঘুরে ডান হাত ডান হাটুর উপরে বøক অবস্থায় অর্থাৎ একটু বাঁকা অবস্থায় থাকবে কোমড়ে। এরপর এক স্টেপ সামনের দিকে যেতে হবে। বাম পা থাকবে হাটু ভাঙ্গা অবস্থায় এবং বাম হাত সেই হাটুর উপর বøক অবস্থায় একটু বাঁকা থাকবে। এরপর বাম দিকে ঘুরে বা হাত বাম হাটুর উপরের থাকবে ভাঙ্গা অবস্থায় আর ডান পা বাম পায়ের বরাবর পেছনে সোজা থাকবে। একই কায়দায় আবার তিন স্টেপে যেতে হবে এবং হাত ও পায়ের পজিশন ঠিক আগের মতোই থাকবে। উভয় পাশে ডানে বামে হাত ও পায়ের পজিশন ঠিক রেখে একই কায়দায় ঘুরে পজিশনে থেকে যেখান থেকে শুরু করা হয়েছিলো ঠিক সেখানে আবার কিবাডাসী অবস্থায় শেষ হবে। মনে রাখতে হবে ‘তাই কুকু’ মারার সময় কিংবা ঘুরার সময় হোইস শব্দের মাধ্যমে ঘুরতে হবে এবং মারতে হবে। সেই সঙ্গে হাত ও পায়ের পজিশন ঠিক থাকতে হবে। তা না হলে কুকু আর্টফুল হবে না। কারণ কিবাডাসী থেকে যখন তাই কুকু শুরু করা হবে মনে রাখতে হবে হাত ও পায়ের অবস্থা যেন ঠিক থাকে। তিন স্টেপ যাওয়ার পর যখন ঘুরা হবে ঠিক তখনও হাত ও পায়ের সমন্বয় থাকতে হবে। এরপর আবার যখন উল্টো দিকে তিন স্টেপ থাকে তখন ও হাতও পায়ের সমন্বয় থাকবে । অর্থাৎ যেখন থেকে তাই কুকু শুরু হয়েছিল কিবাডাসী অবস্থায় সেখানেই আবার কিবাডাসী অবস্থায় তা শেষ করতে হবে।
লেখক: সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ, কারাতে কোচ
ও চেয়ারম্যান গ্রীন ক্লাব মানিকগঞ্জ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।