নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬টি ক্রীড়া ডিসিপ্লিনের চর্চা বাধ্যতামূলক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু এই তালিকায় নেই ভারোত্তোলন ও কারাতের নাম! বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে খেলাগুলো আন্তর্জাতিক আসর থেকে সফলতা বয়ে এনে আশার আলো দেখাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভারোত্তোলন ও কারাতে। সর্বশেষ দু’টি সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস থেকেই স্বর্ণপদক এসেছে ভারোত্তোলন ডিসিপ্লিন থেকে। সর্বশেষ নেপাল এসএ গেমসের কারাতে ডিসিপ্লিনে লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদরা তিনটি সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখরায় অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে বাংলাদেশের ঝুলিতে ৫ টি স্বর্ণপদক যোগ করেন কারাতেকা ও ভারোত্তলকরা। ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, জিয়ারুল ইসলাম এবং কারাতেকা হুমায়রা আক্তার অন্তরা, মারজিয়া আক্তার প্রিয়া ও মো. আল আমিনরা সোনা জিতে সবার বাহবা কুড়িয়েছেন। অথচ সম্ভাবনাময় এ দুই খেলাকেই এড়িয়ে গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রতিভাবান তারকা ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করতে হলে স্কুল পর্যায় থেকেই খেলাধুলা চর্চার প্রয়োজন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার হলেও দু’টি সম্ভাবনাময় খেলাকে প্রাধান্য না দিয়ে সম্ভাবনাহীন কয়েকটি দলীয় খেলার চর্চা বাধ্যতামূলক করায় সমালোচনার ঝড় বইছে ক্রীড়াঙ্গনে। যে খেলাগুলো অতীতে কেবল ব্যর্থতাই দেখিয়েছে সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বাধ্যতামূলক খেলায়।
মাধ্যমিক স্তরের (মাধ্যমিক, নিন্মমাধ্যমিক, দাখিল ও ভোকেশনাল) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১৬টি খেলার চর্চাকে বাধ্যতামূলক করে শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এক সার্কুলার জারি করে। খেলাগুলো হচ্ছে- ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, হকি, রাগবি, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, আরচ্যারি, অ্যাথলেটিক্স (৩৫ ইভেন্ট), সাঁতার (১১ ইভেন্ট), তায়কোয়ান্ডো, দাবা ও সাইক্লিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।