নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কষ্টের জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের বর্ষণ সিক্ত কাঁদা মাঠে তারা ১-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। বিজয়ী দলের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন স্থানীয় ফরোয়ার্ড নুরুল আবসার।
আগের দিন ফরাশগঞ্জে হোচট খেয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ণ ঢাকা আবাহনী। লিগে ২৩ ম্যাচ পর হারের স্বাদ পায় তারা। তাই কাল বিজেএমসির বিপক্ষে বেশ সতর্কই ছিলো শেখ জামাল। পিচ্ছিল মাঠ, একটু ভুল করলেই বিপদ। এই চিন্তা মাথায় রেখে শুরু থেকেই সাবধানী ফুটবল খেলে তারা। তাই তো শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। তবে পূর্ণ পয়েন্ট পেতে ঘাম ঝরেছে তাদের।
দুপুরে মুষল ধারায় বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ ছিলো পুরোটাই কর্দমাক্ত। কাদায় ঘাস দেখা যাচ্ছিল না। জায়গায় জায়গায় পানি জমে ছিল। এমন মাঠে খেলা তো দূরে থাক হাল চাষ করেও স্বস্তি পাওয়া অসম্ভব। খেলা শুরু হলে দেখা গেছে দু’দলের ফুটবলাররাই বার বার হোচট খাচ্ছিলেন। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছিলেন না তারা। সময় যতই গড়িয়েছে মাঠের অবস্থা ততই খারাপ হয়েছে। একটা সময়তো মাঠে কাদা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এই মাঠে খেলে জয় তুলে নেয়া যে কি কষ্টকর তা টের পেয়েছে শেখ জামাল। তারপরও মন্দের ভালো কষ্টের হলেও জয় তো মিলেছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দলের ফরোয়ার্ডরা আক্রমণাতœক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। তারপরও ৭ মিনিটে শেখ জামালের রাফায়েল এবং ২৫ মিনিটে বিজেএমসির শরিফুল দু’টি সুযোগ পেলেও সফল হননি। ৩৮ মিনিটে জামালের সলোমন কিংয়ের লম্বা পাস পেয়ে যান মাঝমাঠে অরক্ষিত রাফায়েল। তিনি বল ধরে স্প্রিন্টারের মতো দৌড় দেন। বিপদ বুঝে তার দু’পাশে ছুটতে থাকেন বিজেএমসির দুই ডিফেন্ডার। কিন্তু তীব্র গতিতে দ্রæতই পেনাল্টি অঞ্চলে পৌঁছে যান রাফায়েল। বিজেএমসি গোলরক্ষক সোহাগ হোসেন পলাশ অবস্থা বেগতিক দেখে এগিয়ে আসেন। রাফায়েল ডান পায়ের যে শটটি নেন, তা সোহাগের গায়ে লেগে কর্নার হয়। ফলে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় শেখ জামাল। অমিমাংসিতভাবে প্রথমার্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাজের কাজটি করে বসেন জামাল ফরোয়ার্ড নুরুল আবসার। ৫৪ মিনিটে বিজেএমসির বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান প্রান্তে ফ্রি কিক পায় জামাল। সলোমনের ফ্রি কিক ফিস্ট করেন বিজেএমসির গোলরক্ষক পলাশ। সেই বল পান জামালের মিডফিল্ডার আলী হোসেন। তিনি বাঁম প্রান্ত দিয়ে বলটি ফেলেন বক্সে। সেই বলে ওয়ানটাচে বাঁম পায়ের ভলিতে দর্শনীয় গোল করেন নুরুল আবসার (১-০)। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও আর কোন গোল হয়নি। ফলে অনেকটা কষ্টের জয়ে নিয়েই ঘরে ফিরে শেখ জামাল।
প্রথম ম্যাচ শেষে যেখানে মাঠের অবস্থা করুন সেখানেই সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে ঢাকা মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-০ গোলের জয় পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।