নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হারলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আগের ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে হেরে লিগে দ্বিতীয় হারের শিকার হলেও গতকাল তৃতীয় হারের দেখা পেল শিরোপা প্রত্যাশি শেখ জামাল। গতকাল কুমিল্লার ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহামেডান সহজেই ৩-১ গোলে হারায় শেখ জামালকে।
পুরো ম্যাচে হওয়া চারটি গোলই করেছেন মোহামেডানের ফুটবলাররা। স্থানীয় মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে দেবার পর মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে সেই গোল শেখ জামালকে ফিরিয়ে দেন আত্মঘাতির মাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত সাদাকালোরা জয় না পেলে হয়তো ভিলেন হয়েই থাকতেন দিয়াবাতে। কিন্তু পেনাল্টি থেকে পর পর দুই গোল করে জয়ের নায়ক বনে মোহামেডান অধিনায়ক।
আর এতে একটি আক্ষেপও ফুরালো মোহামেযানের। দীর্ঘ ৫ বছর ৮ মাস ১৩ দিন- আরও স্পষ্ট করে বললে ২ হাজার ৮২ দিন পর শেখ জামালকে হারাল মোহামেডান। এর আগে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে শেখ জামালকে সর্বশেষ হারিয়েছিল সাদা-কালো শিবির। ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে মোহামেডানের জয়সূচক গোলটি করেছিলেন তৌহিদুল আলম সবুজ। এরপর প্রিমিয়ার লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেলে কোনো জয়ের দেখা পায়নি মোহামেডান। অবশেষে আজ শেখ জামালকে হারানোর রাস্তা খুঁজে পেল তারা। শুধু লিগের হিসাবে মুখোমুখি লড়াইয়ে আট ম্যাচ পর জয় পেল মোহামেডান।
এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত খেলে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল শেখ জামাল। কিন্তু ১৬তম রাউন্ডে এসে হঠাৎ তাদের ছন্দপতন ঘটে। এই রাউন্ডে রাসেলের কাছে হারের পরের রাউন্ডে মোহামেডানের বিপক্ষে হারলো তারা। ডাগ আউটে নতুন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিককে পেয়ে যেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে সাদাকালোরা। কাল শুরু থেকেই শেখ জামালকে চেপে ধরে মোহামেডান। গোল খুব বেশি না হলেও ঘটনাবহুল ছিল ম্যাচটি। শেখ জামালের দুই হ্যান্ডবল, মোহামেডানের পক্ষে দুই পেনাল্টি, এক আত্মঘাতি গোল আর সুলেমান দিয়াবাতের জোড়া গোল। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্যই ছিল জামাল-মোহামেডান ম্যাচটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই শেখ জামালের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিক দল মোহামেডান। ৩৫ মিনিটে জামালের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় মোহামেডান। ডান প্রান্ত দিয়ে ফাহিমের ডান পায়ের ক্রস ডান পায়ের শটে জামালের জালে জড়িয়ে দেন মোরসালিন (১-০)। চার মিনিট পর রায়হান হাসানের লং থ্রো ফিরিয়ে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক। ওটাবেক বল পেয়ে শট নিলে তা প্রতিহত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়ান মোহামেডানের দিয়াবাতে (১-১)। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মোরাসালিনের লং বল বক্সে পেয়ে শট নিতে যাচ্ছিলেন সুলায়মানে দিয়াবাতে। কিন্তু সেই বল লাগে জামালের ডিফেন্ডার রায়হান হাসানের হাতে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে দিয়াবাতের স্পট কিক আটকাতে ব্যর্থ হন জামাল গোলরক্ষক নাঈম। ফের এগিয়ে যায় মোহামেডান (২-১)।
৮৩ মিনিটে মোহামেডানের একটি আক্রমণ ফেরাতে গিয়ে আরিফুলের হ্যান্ডবল হয়। যে কারণে আবারও পেনাল্টি পায় মোহামেডান। সুলেমানে দিয়াবাতে পেনাল্টি শট থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান (৩-১)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাদাকালোরা। এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানেই থাকলো মোহামেডান। সমান ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে শেখ জামাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।