নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবশেষে সংকটের অবসান : স্পোর্টস ডেস্ক : গত পহেলা জুলাই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট আকাশে নেমে এসেছিল অমানিশার অন্ধকার। বোর্ড-ক্রিকেটার দ্ব›েদ্ব মাথা হেঁট হতে বসেছিল বিশ্বের ধনী বোর্ডগুলোর একটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। অবশেষে কেটে গেছে সেই মেঘ। উঠেছে নতুন সূর্য্য।
গত কিছুদিন ধরেই সরতে শুরু করেছিল মেঘ, দেখা যাচ্ছিল রোদের ঝিলিক। পুরোপুরিই কেটে গেল গতকাল। অবসান হল চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের। সমঝোতা হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের।
এই সপ্তাহে শেষ না হলে সংকট গড়াতে পারত সালিশি আদালতে; তবে শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াল না ক্রিকেট। সমাধান মিলল টেবিলেই। মুখোমুখি আলোচনার চূড়ান্ত ধাপে গতকাল সকালে দুপক্ষের মত গিয়ে মিলল এক বিন্দুতে। সুরাহা হলো ৯ মাস ধরে চলে আসা সংকটের। মৌলিক দিকগুলোয় একমত হয়ে দুই পক্ষই চুক্তিতে সই করেছে। ‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং’- এর বিস্তারিত জানানো হবে সংবাদ সম্মেলন করে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এবং ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যালেস্টার নিকলসন স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মূলত বেতন-ভাতার কাঠামো বদলাতে চাওয়াতেই সংকটের শুরু। দুই যুগ ধরে চলে আসা কাঠামো অনুযায়ী বোর্ডের রাজস্ব আয়ের একটা অংশ ভাগ করে দেওয়া হতো অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের। এবার সেটিতে খানিকটা বদল আনতে চেয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় ক্রিকেটারদের লভ্যাংশ বাড়িয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের এটির বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সে অর্থ বোর্ড খরচ করতে চেয়েছিল তৃণমূল ক্রিকেটে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় একাট্টা হন জাতীয় ক্রিকেটাররা। দুই পক্ষে অনড় মনোভাবে ঘনীভূত হয় সংকট। যার রেশ ধরে গত মাসে ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বয়কট করেন ক্রিকেটাররা। চুক্তি না হলে দল বাংলাদেশ সফরেও আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। হুমকিতে পড়ে যায় সামনের ভারত সফর ও অ্যাশেজও। এদিকে সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বাড়তে থাকে স্পন্সরদের চাপও। বলা হচ্ছিলো, নিকট অতীতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংকট এটিই। শেষ পর্যন্ত মিলল সমাধান।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য রাজস্বের ২৭.৫ শতাংশ পাবেন ক্রিকেটাররা। যাদের নিয়ে এত আলোচনা-আন্দোলন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটাররাও যথারীতি অন্তর্ভুক্ত থাকছেন রাজস্ব ভাগের তালিকায়। তবে বড় অংশ অবশ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা পাবেন। শুধু এটিই নয়, মেয়েদের পারিশ্রমিক বাড়ছে চোখধাধিয়ে দেওয়া হারে। ৭৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বেড়ে মেয়েদের পারিশ্রমিক হতে যাচ্ছে ৫ কোটি ৫২ লাভ অস্ট্রেলিয়ান ডলার! ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যালেস্টার নিকলসনের মতে, অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের যে কোনো ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক বৃদ্ধি এটিই। আরেকটি জায়গাতেও ‘জয়’ হয়েছে ক্রিকেটারদের। নতুন প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে চাকরিবিহীন ছিলেন ২৩০ জনের বেশি ক্রিকেটার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জোর দিয়ে বলেছিল, ভবিষ্যতে নতুন চুক্তি হলেও হারিয়ে যাওয়া সময়টার জন্য আর পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না। সেই জায়গা থেকেও সরে এসেছে বোর্ড। নতুন চুক্তি হলে চুক্তিবিহীন সময়টার পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।