Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ হাজার রোগ সারানোর দ্বারপ্রান্তে বিজ্ঞানীরা

| প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রথমবারের মতো মানব ভ্রƒণের অসুস্থ জিন সারিয়ে তুললো বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, জন্মগত ১০ হাজার রোগ সারানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বিজ্ঞানীরা। এর ফলে পরবর্তী প্রজন্মও অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবে। এই সাফল্য অনেক রোগের বিরুদ্ধে মোকাবেলায় বড় এক পদক্ষেপ বলে দাবি তাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন হেলথ এন্ড সাইন্স ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বুধবার দাবি করেন, আরও আগে এই প্রক্রিয়া শুরু হলে ওই ভ্রƒণের মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানের আরও অগ্রগতি সাধন হতো। জিনবাহিত রোগের কারণে জন্মের আগে, জন্মের সময় বা জন্মের পরে অনেক শিশু মারাত্মক পরিণতির শিকার হয়। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এমন ত্রæটি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ভ্রƒণ অবস্থাতেই ত্রæটিপূর্ণ জিন আলাদা করা সম্ভব। তবে এই পরীক্ষা এখনও পরীক্ষাগারে সীমিত। গর্ভকালীন সময়ে পরীক্ষা করার সময় এখনও আসেনি। তবে গবেষকদের দাবি, তারা এখন ডিএনএ থেকে সেই অসুস্থ জিন সারিয়ে ফেলতে সক্ষম যেটা যুগ যুগ ধরে বংশ পরিক্রমায় চলে আসছে। প্রশ্ন উঠছে এখানেই। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডিন ড. জর্জ ডেলি বলেন, এই গবেষণা থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে এখন ভ্রƒণ পরিবর্তন করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিবর্তন কি আমাদের করা উচিত। বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই গবেষণার প্রশংসাও করেননি তিনি। তবে যুক্তরাজ্যের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের জেনেটিক বিশেষজ্ঞ রবি লাভেল ব্যাহ বলেন, এটা অবশ্যই বিশাল অর্জন। বিজ্ঞানের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আল-জাজিরার গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্দো বলেন, সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীদের জন্য এটা অনন্য মাইলফলক। অনেকে একে চাঁদে প্রথমবার পা রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন। হৃদরোগ ও আলঝেইমার সহ প্রায় ১০ হাজার বংশগত রোগ রয়েছে। অনেকেই এই বংশগত রোগ এড়িয়ে যেতে ডাক্তারের শরনাপন্ন হন। প্রথমবারের মতো কাঙ্খিত সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। জিন নিয়ে এমন চিকিৎসা হয়তো অসুস্থ ভ্রƒণ সারিয়ে তুলবে। তবে এই পরিবর্তন থেকে যাবে পরবতী প্রজন্মেও। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধু রোগ সারানোই নয়, দম্পতিরা নিজেদের পছন্দমতো শিশু নেওয়ারও চেষ্টা করবেন। আর চীনে এমন কয়েকটি প্রচেষ্টা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে। ন্যাচার র্জানালে প্রকাশিত কয়েকটি গবেষণা পরীক্ষায় দেখা যায়, অরেগনের গবেষকরা। তারা হৃদরোগের জন্য দায়ী একটি ভ্রƒণকে কেন্দ্র করে গবেষণা চালাতে থাকেন। হাইপারট্রপিক কার্ডিওমাইপ্যাথি নামে ওেই রোগ প্রতি ৫০০ জনে একজনের হয়ে থাকে। আর এজন্য একটি অসুস্থ জিনই দায়ী। গবেষণা দল সিআরআইএসপিআর নামে একটি প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন যাকে মলিকিউলার কাঁচি বলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা একটি অসুস্থ ভ্রƒণকে মলিকিউলার সিজরের মাধ্যমে সুস্থ ডিম্বাণুতে প্রবেশ করান। এরপর তৈরি জাইগোটটি সুস্থ বলে দাবি করেন গবেষকরা। অরেগন হেলথ এন্ড সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গবেষক শৌখরাত মিতালিপোভ বলেন, ভ্রƒণগুলো বাইরের কোনও সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে সুস্থ হয়ে উঠেছে। আল-জাজিরা,এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১০ হাজার

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৬ এপ্রিল, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ