পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রায় ২০ বছর আগের এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে ৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে সালমানকে ১০ হাজার ভারতীয় রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যোধপুরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। শুরুতে আদালত সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো সালমানের ২ বছরের কারাদন্ডের খবর জানালেও পরে তা সংশোধন করে ৫ বছরের সাজার কথা উল্লেখ করা হয়। যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে তাকে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই রাত কাটাতে হবে তাকে। আজ শুক্রবার সকালে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন সালমান। সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে কানকানি গ্রামে দুটি বিরল প্রজাতির হরিণ শিকার করেছেন। সালমানসহ উল্লেখিত অভিনেতা অভিনেত্রীরা সেখানে একটি হিন্দি ছবির শুটিংয়ে গিয়েছিলেন। ৫২ বছর বয়সী সালমান আগেই এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, হরিণ দুটি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে। প্রায় বিশ বছর বয়সী পুরনো এই মামলার আদেশ দিয়েছেন যোধপুরের ডিসট্রিক্ট প্রিজাইডিং অফিসার দেবকুমার খাত্রী। হরিণ শিকারে সালমান খানকে ‘অভ্যস্ত আক্রমণকারী’ আখ্যা দেওয়া হয় আদালতের রায়ে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যান্য আসামি বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবু। বেনিফিট অব ডাউট-এর বিবেচনায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত। এ মামলায় আরও দু’জন অভিযুক্ত ছিলেন ট্রাভেল এজেন্ট দশায়ন্ত সিং ও সালমানের সহকারী দিনেশ গাউরে। গাউরে অবশ্য এখনও পলাতক।
নিম্ন আদালত এই মামলার রায়ে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদÐ দিয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রায় এক সপ্তাহ জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমান। আপিলে হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিত কৌর বলিউড সুপারস্টারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে বেকসুর খালাস দেন। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সালমান খানের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলি মৃত প্রাণীর শরীরে পাওয়া যায়নি, তাই সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর এজন্যই সালমানকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিয়ে মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। রায়ের বিপরীতে রাজস্থান সরকার সালমানের দÐের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপিল করেছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সালমানের নতুন সাজা ঘোষিত হলো। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।