Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কর্পোরেশন করবে চীন

জ্বালানি, ইস্পাত থেকে বিমান চালনাসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ছিল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাষ্ট্রায়ত্ত সব কোম্পানিকে করপোরেশনে পরিণত করবে চীন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ রূপান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে দেশটি জানিয়েছে। শিল্প খাতকে দৃঢ় ও বৃহদাকার করতে চীন এ প্রয়াস হাতে নিয়েছে। প্রায় এক বছর ধরেই কেন্দ্রীয়ভাবে চালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ ছিল চীন। এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। জ্বালানি, ইস্পাত থেকে বিমান চালনাসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ছিল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। অনেক দিন ধরেই সরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্বিন্যস্ত করার প্রচেষ্টা প্রতিহত করে আসছে স্বার্থান্বেষী মহল। এ প্রতিষ্ঠানগুলোই দেশটির বড় নিয়োগকর্তা নিয়োজিত আমলারা এখানে এক ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। চলতি বছরের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লিমিটেড কোম্পানি বা করপোরেশন-এ রূপান্তর করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চীনের মন্ত্রিসভা স্টেট কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে গত বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে চীন একটি আধুনিক ব্যবসায়িক ধারা ও বাজারনির্ভর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি তৈরি করতে চাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে করপোরেশনে পরিণত করেছে চীন। তবে এসব কোম্পানিতে কবে থেকে বেসরকারি বিনিয়োগ চালু হবে বা শেয়ারবাজারে এ কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়ার সময়সীমার ব্যাপারে বিবৃতিতে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি আধুনিক করপোরেট শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের বিষয়ে মতবিনিময় করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিবৃতিতে এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর রূপান্তরের বিষয়ে বলেছিলেন, এ প্রক্রিয়াটি জাতীয় উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিতস্বরূপ। চীনের রাষ্ট্রীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে গিয়েছিল। বিপুল পরিমাণ ঋণে এ প্রতিষ্ঠানগুলো জর্জরিত ছিল। এদের অতিরিক্ত উৎপাদনশীলতা দেশীয় চাহিদাকে অতিক্রম করেছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও প্রয়োজনীয় সংস্কারে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অদক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো লে-অফ করলে যে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে সে বিষয়ে শঙ্কিত বেইজিং। রাষ্ট্রায়ত্ত অপেক্ষাকৃত অদক্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিতে বেইজিংকে গত মাসে আহŸান জানিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ)। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টিকে আছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ