Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই নেইমারকে কেন ছাড়বে বার্সা?

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বার্সেলোনায় তাকে কেন দরকার সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন নেইমার।
ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিযে ফুটবলের দলবদলের বাজার এখন উত্তপ্ত। এরই মাঝে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্সা। দুটি গোলই এসেছে নেইমারের পা থেকে। আর দুই গোলই প্রিয় বন্ধুকে দিয়ে করিয়ে লিওনেল মেসিও যেন বলতে চাইলেন ‘যেভাবে চলছে এভাবে চলুক না বন্ধু’।
এটা হলো প্রিয় দুই বন্ধুর মাঠের ভাষা। মাঠের বাইরেও নাকি নেইমারকে ছেড়ে না যেতে অনুরোধ করেছেন মেসি। শুধু মেসি নন, এই তালিকায় ‘এমএসএন’ ত্রিফলার আরেক সদস্য লুইস সুয়ারেজ এমনকি দলের আরেক মহাতারকা জেরার্ড পিকেও। জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে নাকি নেইমারকে নু ক্যাম্প না ছাড়তে অনুরোধ করেছেন তারা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটা দাবি করেছে ইংলিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমিউ নাকি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, দলের দ্বিতীয় সেরা তারকার ব্যাপারে বার্সেলোনাকে অবশ্যই ‘নিরব’ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, নেইমারকে পেতে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিশাল রিলিজ ক্লজও পিএসজি মেটাতে প্রস্তুত বলে ইউরোপিয়ান ফুটবল পাড়ায় গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন রটে বেড়াচ্ছে। অবশ্য বিশ্বস্থ তেমন কোন সূত্র থেকে এখনো এমন খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বেতন-বোনাস ও কর মিলিয়ে নেইমারকে পেতে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি খরচ হবে পিএসজিকে। আর্থিক দিক দিয়ে যে অঙ্কটা বিশাল।
এমন গুঞ্জনের মধ্যেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন ২৫ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান তারকা। মিট লাইফ স্টেডিয়ামে প্রায় ৮৩ হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের মাত্র পঞ্চাদশ মিনিটের মাথায় দলকে এদিয়ে নেন তিনি, গোলের উৎসমুখ ছিলেন মেসি। নয় মিনিট পর আবারো দুই বন্ধুর কীর্তিতে স্কোর লাইন ২-০ করে ফেলে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে এই যুগলকে আর মাঠেই নামাননি কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে, নামেন সুয়ারেজ।
এই ম্যাচ দিয়েই বার্সা ডাগআউটে অভিষেক হলো ভালভার্দের। কাতালান দলটির এক সময়ের মাঠের যোদ্ধা এখন এসে দাঁড়িয়েছেন সাইড লাইনে। শুরুটাও হলো অন্যতম ইউরোপীয়ান পরাশক্তির বিপক্ষে জয় দিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই জুভেন্টাসের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল লুইস এনরিকের বার্সাকে। সেই দলকে হারিয়েই ভালভার্দে প্রতিশোধ নিলেন ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর যুগলবন্দি ছাড়াই। এর মাধ্যমে ভালভার্দেও হয়তো বুঝিয়ে দিলেন খেলোয়াড়ের চেয়ে ক্লাব অনেক বড়। শূণ্যতা যত বড়ই হোক ক্লাবের পক্ষে তা পূরণ করা সম্ভব।
তবে জয়টা এ¤িœ এ¤িœ আসেনি বার্সার। দলের দুই প্রধান তারকার অনুপস্থিতি দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই টের পেয়েছে ভালভার্দের দল। জুভেন্টাসের একাদশকে যদি দুর্বল ভাবেন তাহলে ভুল করবেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা একাদশের প্রায় সবাই-ই ছিলেন এই দলে। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে হিগুয়েইন-দিবালারা সফলও হন ৬৩তম মিনিটে। পাওলো দিবালার ক্রস থেকে হেডের মাধ্যমে একটা গোলও শোধ দেন জর্জিয় কিয়েলিনি। এরপরও বার্সার উপর চাপ অব্যহত রাখে মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির দল। কিন্তু শেষ অবদি হারের মাল্য পরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
ম্যাচ শেষে নেইমার সাংবাদিকদের সামনে আসেননি, সোজা বিরিয়ে যান স্টেডিয়াম থেকে। তাবে নেইমারকে নিয়ে স্বাভাবীকভাবেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভালভার্দেকে। ‘বার্সা কি নেইমারকে যেতে দেবে?’ এমন প্রশ্নে সাবেক অ্যাথলেটিক বিলবাও কোচ বলেন, ‘এমন কোন রাস্তাই নেই যে বার্সেলোনা নেইমারকে যেতে দেবে। আমরা জানি সে কিভাবে খেলাটির সাথে জড়িয়ে। ড্রেসিং রুম, তার ভাবভঙ্গি সবকিছু মিলিয়ে নেইমারকে আমাদের সঙ্গে চাই।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বার্সা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ