নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অনেক দিন ধরে চলছে রকমারি গুঞ্জন। রবের্ত লেভান্দোভস্কি অবশ্য আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ছাড়তে চান বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর বুন্দেসলিগার দলটি দাবি-দাওয়া কিছুটা কমানোর খবর গণমাধ্যমে এলে গুঞ্জন সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা জাগে জোরালভাবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হতে যাচ্ছে। নিজেদের বিশ্বস্ত সূত্র ধরে কয়েকটি ব্রিটিশ মিডিয়া গতপরশু রাত থেকেই খবর দিচ্ছে, এরই মধ্যে তার স্পেনের যাওয়ার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। দুই ক্লাবের মধ্যে হয়ে গেছে সমঝোতা। উভয় ক্লাবই বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। এখন মেডিকেল হয়ে গেলেই চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে। এরই মধ্যে বায়ার্নে সতীর্থদেরও বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন লেভা। দলবদলের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র বলে বিবেচিত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিসিও রোমানো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, মেডিকেল এবং চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারতে লেভান্দোভস্কি গতকালই বার্সেলোনায় পৌঁছার কথা।
তবে শেষটা কাক্সিক্ষত না হলেও এতদিনের মধুর সম্পর্কচ্ছ্বেদের পরও মিউনিখ থেকে বিদায়বেলায় সেসব আর মনে রাখতে চাইলেন না লেভান্দোভস্কি। বললেন, আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় সাফল্যে ভরা আট বছরের স্মৃতি চিরজীবন হৃদয়ে লালন করবেন। দুই ক্লাবের বিবৃতির পর ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে আসা দল-সতীর্থ এবং প্রিয় সমর্থকগোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানান লেভান্দোভস্কি, ‘আমি আমার সব সতীর্থ, ক্লাবের সব কর্মচারী এবং এফসি বায়ার্নের ম্যানেজমেন্ট সহ যারা আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবার জন্যই আমরা অনেক শিরোপা জিততে পেরেছি। সবার ওপরে আমি সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানাই-আপনারাই এই ক্লাব তৈরি করেছেন। আমরা খেলোয়াড়রা এখানে কেবল একটা মুহূর্তের জন্য থাকি। আমার জন্য সেই মুহূর্তটা অসাধারণ আটটি বছর এবং এই স্মৃতি সারাটা জীবন আমার মনে থাকবে।’
পোল্যান্ডের হয়ে ১৩২ ম্যাচে ৭৬ গোল করা লেভান্দোভস্কি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বায়ার্নে যোগ দেন ২০১৪ সালে। দীর্ঘ এই সময়ে দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭৫ ম্যাচে তার গোল ৩৪৪টি। গত কয়েক মৌসুমে তো তিনি হয়ে উঠেছিলেন গোল মেশিন। ভেঙে দেন অনেক রেকর্ড। জার্মানির সফলতম দলটির হয়ে প্রতি মৌসুমে বুন্দেসলিগা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন তিনি সব ধরনের শিরোপা। সাফল্যে মোড়ানো ক্লাব ক্যারিয়ারে বায়ার্নের হয়ে ৮টি বুন্দেসলিগা, ৩টি জার্মান কাপ, ৪টি জার্মান সুপার কাপ এবং ১টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি।
দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার লেভান্দোভস্কির সঙ্গে বায়ার্নের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। ক্লাবের পক্ষ থেকে শুরুতে যেকোনো ভাবে এই খেলোয়াড়কে ধরে রাখার কথা বলা হলেও পরে ‘উপযুক্ত মূল্য’ পেয়ে ছেড়ে দিতে রাজি হয় তারা। ট্রান্সফার ফির বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকেই এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলা হয়নি। তবে গণমাধ্যমের খবর মতে, অঙ্কটা হতে পারে পাঁচ কোটি ইউরো। এটা ঠিক যে নিজে থেকেই তিনি চলে যেতে চেয়েছেন। তবে, এত এত সাফল্য যেখানে পেয়েছেন, যে জার্সি পরে হয়ে উঠেছেন সত্যিকারের তারকা-প্রিয় সেই ঠিকানা ছাড়ার বেলায় ঠিকই মন কাঁদছে লেভান্দোভস্কির, ‘আমরা সবাই মিলে যা কিছু অর্জন করেছি, সেজন্য আমি গর্বিত। আমি আবারও এই ক্লাবের সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, তারাই বায়ার্নকে বিশেষ একটি ক্লাব করে তুলেছে।’
লিওনেল মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই একজন স্কোরারের অভাব বড্ড অনুভব করছিল বার্সেলোনা। এবারের দলবদলে তাই তারা কোমর বেঁধে নামে লেভান্দোভস্কিকে আনতে। অনেক চেষ্টা আর দর কষাকষির পর শেষ পর্যন্ত তাকে পাচ্ছেন দলটির কোচ শাভি এরনান্দেস। সমস্যায় ঘেরা দুই মৌসুমে শেষে এবার কক্ষপথে ফেরার আশায় বার্সেলোনা। আর ৩৪ বছর বয়সী লেভান্দোভস্কির সামনে পূর্বের সাফল্যের ধারাবাহিকতা এখানেও টেনে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।